সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি,সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন,নিজ গরজেই বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।তাদের কোনো শর্ত মানা হবে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনী কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটা আদালতের বিষয়।সরকারের হাত নেই।সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।দলীয় সূত্রমতে,আগামী সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক তা চায় ক্ষমতাসীনরা।এ জন্য বিএনপিসহ নিবন্ধনকৃত সব দলের অংশগ্রহণ চান তারা।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও উন্নয়ন কাজে জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।এ জন্য বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি আগামীতে ক্ষমতায় এলে আরও কী কী করা হবে সেগুলো তুলে ধরছেন কেন্দ্রীয় নেতা,এমপি ও মন্ত্রীসহ মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া সম্পর্কে আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই তারা নানা শর্ত দিচ্ছে। এগুলো নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণার অংশ।তারা বলছেন,নিজেদের অস্তিত্ব ও নিবন্ধন রক্ষার জন্য বিএনপির সামনে বিকল্প পথ নেই।কাজেই তারা এখন যত শর্তই দিক না কেন,সংসদ নির্বাচনে ঠিকই অংশগ্রহণ করবে। আর যদি তারা নির্বাচনে না আসতে চান তাহলে সরকার তাদের বাধ্য করবে না।আর খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।এ মামলাও আওয়ামী লীগ সরকার দেয়নি।২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপি নেত্রী মুক্তি পেলে সরকার বাধা দেবে না।
বিএনপির অভিযোগ ও শর্ত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,আগামী নির্বাচনে জিতবে,বিএনপি এ আশা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নানান ছলছুতায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে তারা। বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নির্বাচনে আসবে কি আসবে না।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি বা জামিনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,খালেদা জিয়ার জামিন হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায়।জামিন এবং মুক্তি দিতে পারে আদালত।এটা সরকারের কোনো বিষয় নয়। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান জানান, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও বিএনপি এমনটি করেছিল।কিন্তু লাভ হয়নি।নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই বিএনপি নানা শর্ত দিচ্ছে।তারা নিজেদের স্বার্থেই নির্বাচনে আসবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, ‘বিএনপি মোটামুটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল।তারা যদি নির্বাচনে না আসে তাদের বাধ্য করব না এবং নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। ’তিনি জানান,তারা যেসব শর্ত দিচ্ছে,হয়তো এগুলো নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ।তারা যদি কখনো ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে এগুলো বাস্তবায়ন করবে। ’