ঐতিহ্য ধারনকারীরাই ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছে


প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০১৮ ১:০৯ : পূর্বাহ্ণ 727 Views

সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আজ শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কারা হচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটির নতুন কান্ডারি তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে মেধাবীরাই আসছেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।নতুন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে পারিবারিক ঐতিহ্য,আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী পরিবারের সন্তানরা।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

নেতাদের দাবি, নিকট অতীতের অন্তত তিনটি কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে অসন্তোষ রয়েছে।বিয়ের তথ্য গোপন করে একজনকে বিগত দিনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।সেই অভিযোগ গড়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে। বর্তমান কমিটির শীর্ষ পদে থাকা এক নেতার শেষদিন পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য দেয়া সংগঠনের নেতৃত্বের জন্য বিব্রতকর।নেতাদের দাবি অনুযায়ী বর্তমান কমিটির শীর্ষ পদের এক নেতার পারিবারিক পরিচয় নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোতে। এমনকি ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যেও এই নিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার অনুসারী হিসেবে আদর্শের কোনো স্তরেই পরীক্ষা না দিয়ে সরাসরি শীর্ষ পদ বাগিয়ে নিয়েছে রহস্যজনকভাবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ নেতাদের দেয়া তথ্য মতে,নানান কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছাত্রলীগকে আবার সঠিক পথে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।বৃহৎ রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনটিকে সময় উপযোগী করতে শেখ হাসিনার এই উদ্যোগের সঙ্গে আছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা;যারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।তারা বলছেন, শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছাত্রলীগকে একটি প্রকৃত রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাহক হিসেবে তৈরি করবেন।তাদের প্রত্যাশা, উন্নয়নশীল বাংলাদেশে শেখ হাসিনার হাতে গড়া ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের নতুন ফেরিওয়ালা।

 

নেতারা জানান, এবার ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা অনুসারে ২৭ বছর বয়সীমা এবং প্রকৃত মেধাবী ছাত্রদের দিয়েই ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।আজ্ঞাবহ ও অযোগ্য নেতাদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয় এবং একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের নেতাদের ব্যবহার করে নিজেদের বিত্ত-বৈভব তৈরি করে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়েছে।একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয়ভাবে করা প্রতিবেদনে এ ধরণের অভিযোগ স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট্য সূত্রগুলো দাবি করেছে।একটি সফল ও ভালো নেতৃত্বের প্রত্যাশা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের।সাবেক নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটমিক হওয়া উচিত।ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সুবিধা নিয়ে ছাত্রলীগের যে ধারা এবং চিন্তা সেই জায়গার পরিপন্থী কিছু গ্রুপ বা ছাত্র তারা নেতৃত্বে প্রবেশ করেছে।যা ছাত্রলীগের রাজনীতিকে নেতিবাচক হিসেবে জাতির কাছে এবং বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে তথ্য মতে, ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে পদ প্রত্যাশীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে।বিশেষ করে পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য,পদ প্রত্যাশী কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী এবং সক্রিয়ভাবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ বিরোধী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রশ্নে এসব বিষয়কেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘কমিটি কিভাবে ঢেলে সাজাবে, কমিটির কলেবর কী হবে,বয়স থাকবে কি থাকবে না,বিবাহিত থাকবে কি থাকবে না-এটা ছাত্রলীগের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা একটি সুন্দর যুগোপযোগী কার্যকরী কমিটি হবে।যে কমিটি আগামী দিনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ,সেই নেতৃত্বে মিলবে এবং গতিকে আরও গতিশীল করবে।উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে- এইটুকুই প্রত্যাশা আমাদের।ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘সফল একটা সম্মেলন হবে,ভালো নেতৃত্ব আসবে। আগামী দিনে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে,এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বলেন, ‘বাংলার নিউক্লিয়াস হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগের পরিসর সে রকম এটমিক হওয়াটাই উত্তম।হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের আছে,তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেয়ার যে বডি সেটা অবশ্যই এটমিক সাইজ হলে ভালো।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের এ রকম সুন্দর প্রক্রিয়া পৃথিবীর অন্য কোনো সংগঠনে আছে বলে আমার জানা নেই।এই রকম সুন্দর প্রক্রিয়া।নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্যে আমরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া আমরা নিয়ে এসেছি।যার সুবিধা অন্য কেউ নেয়ার চেষ্টা করেছে।ছাত্রলীগের যে ধারা এবং চিন্তা সেই জায়গার পরিপন্থী কিছু গ্রুপ বা ছাত্র তারা নেতৃত্বে প্রবেশ করেছে; যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিকে নেতিবাচক হিসেবে জাতির কাছে এবং বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।এই জিনিসটা এখন আমাদের চোখে পড়েছে।’ এদিকে সম্মেলনে অংশ নিতে বান্দরবান থেকে গত রাত বৃহস্পতিবার বান্দরবান ছেড়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলার সকল উপজেলা ও দুই পৌরসভার নেতৃবৃন্দ সহ জেলা কমিটির নেতারা।জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্তরের শীর্ষ নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওসার সোহাগ বহরে থাকা নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের সম্মেলন সফলে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ কে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!