বান্দরবান অফিসঃ-মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পাশের হার ৬২.৭২।বিগত বছর এই হার ছিলো ৬৩.৫১শতাংশ।অপরদিকে বান্দরবানে এবার পাশের হার ৫৭.৯২ শতাংশ।বিগত বছর এই হার ছিলো-৭৯.৬০ শতাংশ।এদিকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এবছর পাশের হার ৫০.৫২ শতাংশ। গেল বছর ২০১৭ সালে অত্র জেলায় এই হার ছিলো ৬২.৬৩ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রদত্ত তথ্য তালিকানুসারে উপরোক্ত তথ্যাবলি পাওয়া গেছে। এবছর শতাংশের হিসেবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পাশের হার সবচেয়ে খারাপ দেখা গেছে। বিগত বছরে এই জেলাটিতে পাশের হার ৭৯.৬০ শতাংশ থাকলেও এবছর পাশের হার নেমে এসেছে ৫৭.৯২ শতাংশে।তবে প্রকাশিত হার অনুসারে এবছর তিন জেলার মধ্যে খাগড়াছড়িতে পাশের হার দেখা গেছে মাত্র ৫০.৫২ শতাংশ। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত ফলাফল শীটে উল্লেখিত তথ্যানুসারে এই তথ্য দেখা গেছে।
এদিকে এবারের এসএসসির ফলাফলে রাঙামাটি সদর উপজেলায় পাশের হার ৭০.২৭ শতাংশ। এই ফলাফল বিশ্লেষণ করেছেন শহরের রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক। সাপছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশর হার ৫৬%, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৫.৪৭%, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী-৮৩.১২%, ক্ষারিক্ষ্যং মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৮.১৩%, মাচ্যা পাড়া বিদ্যালয়ে ৪২.৩১%, শাহ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়-৮৩.৮৭%, রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় ৭১.৬৯%, বড়াদম-৫৪.৫৫%, আল ফেসানী-৬৭.০৫, মোনঘর-৫৯.৭৫%, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৮২.৮০%, লেকার্স-৯৮.৫১%, বন্দুকভাঙ্গা-৫০.০০%, ভেদভেদী-৩৬.১৪%। রাঙামাটি সদর উপজেলায় মোট ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬৭৯ শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাঙামাটির ৮০টি বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ২৭০ জন, খাগড়াছড়ির ৭৫টি বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৭০৫ জন এবং বান্দরবানের ৩৬টি বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৯৫০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৯৪ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ তাওয়ারিক আলম।এবারের ফলাফলে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।
গতবার পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ফলে এবার কমেছে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিগত বছরের তুলনায় এবছর পার্বত্য চট্টগ্রামে ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।বিগত বছরের তুলনায় এবছর পাহাড়ের তিন জেলাতেই ফলাফল খারাপ হয়েছে।