জিহানুর রহমান চৌধুরী, (স্টাফ রিপোর্টার) চট্রগ্রামঃ-সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আবারো সিন্ডিকেট রাজনীতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্থানীয় এমপি নদভী ও তার পতিœ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের অশালীন আচরণ করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ৪/৫ জন নেতা।এতে হঠাৎ কোটিপতি হওয়া জামাত-বিএনপি ও নানা অপরাধ সিন্ডিকেট অর্থ যোগান দিয়ে,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি, ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ডঃআবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে অব্যাহত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।উদ্দেশ্য তাদের সিন্ডিকেট রাজনীতির হীনস্বার্থ হাসিল।বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে নানা রকম নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়ে কথিত চার-পাঁচজন আওয়ামী নেতা সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।দালিলিক সাক্ষীবিহীন সর্বদলীয় সিন্ডিকেটে জামাত, বিএনপির অবৈধ ব্যবসায়ীরাও রয়েছে।যারা রাজনীতি সিন্ডিকেট গঠন করে নিরাপদে তাদের বেপরোয়া সম্পদ অর্জনের ব্যবসা করে যাচ্ছে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নির্যাতিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানিয়েছে,চিহ্নিত কয়েকজন আ্ওয়ামী লীগ নেতা গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে নিরাপদে থেকে জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। তখন তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে তারা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় নি।এইসব কথিত আওয়ামী নেতারা জামাত-বিএনপির সাথে সিন্ডিকেট করে অতীতের নিরাপত্তা ঋণের কথা স্মরণ রেখে জামাত-বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নানারকম আশকারা ও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এমপি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানারকম চক্রান্ত ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট।বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিরও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে জঘন্যভাবে।উল্লেখ্য চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আওয়ামীলীগে জামাতী এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর আওয়ামী লেবাসধারী অনুপ্রবেশকারী।তারা সংখ্যায় সামান্য হলেও দলের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করতে নানা অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।অনুপ্রবেশকারীদের তৎপরতায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আওয়ামী রাজনীতিতে চলছে রশি টানাটানি,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেও চিন্তা করছে না।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে লক্ষাধিক ভোটে এই আসন থেকে নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডঃআবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এই আসনে প্রথমবারের মত আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।সারাদেশে সাতকানিয়া একটি জামাত অধ্যুষিত এবং ২০ দলীয় জোটের দুর্গ নামে পরিচিত।জামায়াত-বিএনপির এই দুর্গকে ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের বিজয়ের নিশান উড়াতে সক্ষম হন ডঃনদভী।তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বিনা সংঘর্ষে সাংসদের কৌশল ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায় জামাত-বিএনপির রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন।নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বর্তমানে এই আসনে আওয়ামীলীগের জনসমর্থন যখন আকাশচুম্বি ঠিক তখনই সাতকানিয়া আওয়ামী রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে কিছু জামাতি গুপ্তচরের এমনটি দাবী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।সম্প্রতি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও এমপি পতিœ, মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীর আলাদা আলাদা ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সাতকানিয়াসহ সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমেও নানা প্রকার মন্তব্যসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।অনুপ্রবেশকারীরা নানা কৌশলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপিকে কাছে রেখে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা পালনে তৎপর রয়েছে বলে উপজেলা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ধারণা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সরকারি বরাদ্দ ও এমপি নদভীর আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে চার বছরে চার দশকের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে।যার ফলে এলাকার দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাংসদ নদভী উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আওয়ামী লেবাসধারীরা। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আরো বলেন,বর্তমান এমপির নেতৃত্বে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আওয়ামীলীগ সংগঠিত ও জনসমর্থনে খুবই শক্তিশালী।ফলে ২০ দলীয় জোটের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন অনুপ্রবেশকারী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না।