রাঙ্গামাটির ‘জুমফুল থিয়েটার’ জিতল জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৭


প্রকাশের সময় :২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১:২৮ : পূর্বাহ্ণ 720 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে নিজেদের উদ্যোগে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসা তরুণ তরুণীদের বাংলাদেশের আগামী দিনের নেতা অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।শনিবার ঢাকার সভারে শেখ হাসিনা যুব কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নে ভূমিকা রাখা তারুণ্যনির্ভর ৩০টি সংগঠনের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়ার সময় তাদের এই অভিধা দেন তিনি।এসময় রাঙ্গামাটি থেকে “জুমফুল থিয়েটার” নামে একটি আদিবাসী সংগঠন সংস্কৃতি উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর কাছ থেকে জয় ‘বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড – ২০১৭’ স্বীকৃতি লাভ করে।অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তাদের দেখিয়ে জাতির জনকের নাতি জয় বলেন, “অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে,কে আমাদের ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে।আমি তাদেরকে আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, “সারা দেশের তরুণ-তরুণীরা বিভিন্নভাবে কাজ করছে।আমরা চেষ্ট করছিলাম,কীভাবে এই স্বপ্নকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।এরপর আমরা ইয়াং বাংলা প্রতিষ্ঠা করি।
“আমরা খুঁজে বের করি সেই সব তরুণ তরুণীদের, যারা দেশের জন্য কাজ করছে।আমরা তাদের খুঁজে পেয়েছি।তারা যেভাবে দেশের জন্য কাজ করছে,আমি সজীব ওয়াজেদ জয়,তাতে অনুপ্রাণিত।” “এই তরুণদের দেখে,তাদের কাহিনী শুনে আনন্দ ও গর্ব লাগছে।আমি তাদের থেকে অনুপ্রাণিত।এই ছেলে মেয়েরা নিজের চিন্তায় বা চেষ্টায় কাজ করছে।প্রতিবন্ধী,মাদক ও মেয়েদের খেলাধুলার সুযোগ দিতে তারা কাজ করছে।”লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জনের পরও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার জন্য জাতির জনককে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধে চেতনার বিপরীত দিকে হাঁটাকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা তনয়। “আমরা লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।৪ বছরেই নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছিলাম।সেই সময়ে আসে ৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট।এরপর স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি ক্ষমতায় আসে।” আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর চিত্র বদলাতে শুরু করেছে বলে জয়ের মন্তব্যে। “আমাদের দেশের তরুণরা এখন দেশের জন্য কাজ করতে যেভাবে এগিয়ে আসছে,আগে সেটা দেখা যেত না।দেশের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারব কি না, দেশকে এগিয়ে নিতে পারব কি না,সেই বিশ্বাস আমরা হারিয়ে ফেলছিলাম।কারণ স্বাধীনতার চেতনা আমরা হারিয়ে ফেলছিলাম।” এই প্রসঙ্গে বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সমালোচনা করে জয় বলেন, “তিনি বলেছিলেন,আত্মনির্ভরশীল হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায় না।বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হোক,তারা সেটা চায়নি।কারণ তারা বাংলাদেশও চায়নি। “আগে আমাদের সামাজিক সমস্যা নিয়ে সুশীলরা কাজ করত।তারা বিদেশে ঘুরতে যেত।এটা তাদের একটা ব্যবসা ছিল।তারা কী করেছে?তারা টাকা পাচার করেছে।” বাংলাদেশের এখনকার অবস্থা তুলে ধরে জয় বলেন, “এখন আমাদেরকে শাইনিং স্টার বলা হচ্ছে।‘নেক্সট ইলেভেন’-অর্থনীতির দেশের একটি আমরা।” উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে ধনী দেশগুলোর সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয় বলেন, “সিরিয়ায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে তারা সেই দেশ থেকে উদ্বাস্তু নিতে চায় না।পাশের দেশের মানুষের সাহায্য করতে চায় না।
“অন্য দিকে ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।কারও কাছে এ জন্য হাত পাতি নাই।১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে এদেরকেও খাওয়াতে পারব।” এই প্রসঙ্গে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ আটকানোর কথাও বলেন জয়।“বিশ্ব ব্যাংক ভেবেছিল,তারা পদ্মা সেতুতে অর্থ বন্ধ করলে বাংলাদেশ তাদের পা ধরবে,মাফ চাইবে।আজ দেখেন বাংলাদেশ কোথায় চলে গেছে,কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।” আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলেই তা সম্ভবপর হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।উপস্থিতদের সবার উদ্দেশে জয় বলেন, “স্বাধীনতার চেতনা কোনোদিন ভুলবেন না। ভুলতে দেবেন না।আর কাউকে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেবেন না।এমন মিথ্যা প্রচারের সুযোগ দেবেন না,যাতে জাতি শহীদদের ভুলে যায়।” বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা স্বাধীনতার বিশ্বাস করে না,তারা বাংলাদেশের উপর কী বিশ্বাস রাখবে?”বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জয়। “অনেকে বলে,আমরা কেন মালয়েশিয়া হতে পারি না।সেখানে যারা স্বাধীনতা এনেছে, তাদেরকে একটানা ৪-৫বার ক্ষমতায় রেখেছে।“আমরা এবার এক নাগাড়ে আট বছর আছি। তাতেই দেখেন, কী পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে।আরও ১০-১৫-২০ বছর ক্ষমতায় থাকলে পারলে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।”

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!