লামায় আইন অমান্য করে অবৈধ ইটভাটায় জ্বলছে আগুনঃ অসহায় স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ৭:২৩ : অপরাহ্ণ 11 Views

বান্দরবানের লামায় আইনে অমান্য করে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা।অভিযান চালিয়েও এসব ইটভাটাগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না।গত এক মাসে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কয়টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অর্থ জরিমানাসহ জ্বালানি কাঠ জব্দ করলেও ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পুনরায় এসব ইটভাটা চালু করছে ইটভাটা মালিকরা।স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন,এইভাবে ফায়ার সার্ভিসের পানি দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেয়ার পরও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় ইটভাটাগুলো পুনরায় চালু করে ইটভাটা মালিকরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে।অর্থ জরিমানা পরিশোধ করে পার পেয়ে যাওয়ার কারনেই রাতারাতি এসব ইটভাটা মালিকরা আইনের তোয়াক্কা না করে পুনরায় ইটভাটায় আগুন দিচ্ছে।এসব ইটভাটা মালিককে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।তাদের দাবী বারবার আর্থিক জরিমানা করায় আইন অমান্য করেও পার পেয়ে যাচ্ছে এসব ইটভাটা মালিকরা।স্থানীয়দের দাবী,উচ্চআদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করেই এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয়রা আরও জানান,তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু হতে না পারে,সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।এরই প্রেক্ষিতে জেলার বিভিন্ন অবৈধ ইট ভাটা গুলো বন্ধ রাখতে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন।তবে অভিযানের মুখে কয়েক ঘন্টা ইটভাটাগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও প্রশাসনিক অভিযান শেষে প্রশাসনের কর্তারা ভাটা এলাকা ত্যাগ করার পর আবারও এসব ভাটায় আগুন দিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা।স্থানীয়রাও এমন অর্থ জরিমানার অভিযানে সন্তুষ্ট নয়।তাদের দাবি এসব ভাটামালিককে আইনের আওতায় আনা গেলেই বন্ধ হতে পারে তাদের অনৈতিক এই বেয়াইনি কার্যক্রম।এবিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদাঃ) রুপায়ন দেব এর বক্তব্যেও মিলেছে এর সত্যতা।তিনি সিএইচটি টাইমস ডটকম এর নিজস্ব প্রতিনিধি কে মুঠোফোন এবিষয়ে জানান,এসব ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থ জরিমানা করা হচ্ছে।তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারি যানবাহন (স্কেভেটর) সহায়তা পেলে অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া যেতো এবং ২৪ ঘন্টার ভেতর নতুন করে আর এইসব ইটভাটা পুনরায় চালু করতে পারতো না।এই এলাকায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ কে জানানো হবে যাতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।তবে জরিমানা আদায় করেই এদের দৌরাত্ম থামানো সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন মাঠ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।লামা উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের খুব কাছাকাছি স্থানে দুটি ইটভাটা গড়ে উঠার বিষয়ে তিনি বলেন,অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং অর্থদন্ড করা হয়।পরবর্তীতে আবারও ভাটা মালিকরা চালু করে দিয়েছে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি সিএইচটি টাইমস ডটকমকে জানান।এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কেনও নিয়মিত মামলা রুজু করছে না এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদাঃ) রুপায়ন দেব আরও বলেন,এটা পরিবেশ অধিদপ্তরের গাফিলতি কিনা খতিয়ে দেখা হবে।মাত্র এক মাস আগে আমি লামায় যোগদান করেছি।এখানে অসংখ্য পাহাড় কেটে কটেজ ও রিসোর্ট করা হয়েছে।যদিও পরিবেশ অধিদপ্তর এমন ঘটনায় একটি মামলাও করেনি এমনটাই শুনেছি।তিনি জানান,বান্দরবানের লামায় অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনা করার দায়ে ৪ ভাটা মালিককে সোমবার (২০ জানুয়ারি) ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এদিন উপজেলার ফাইতং ইউপি এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।অবৈধ ইট ভাটার মালিকরা হলেন,SBW-ব্রীক্সের গিয়াস উদ্দিন,5BM ব্রীক্সের মো.জুনায়েদ,DBM ব্রীক্সের নাজেমুল ইসলাম ও DBM ব্রীক্সের আলহাজ্ব এনামুল হক।

(((ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
January 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!