চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম উত্তর,দক্ষিণ ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন সংগঠনের নেতা মঈন উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের নেতা সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম ও মানবাধিকার নেতা সমাজসেবেক মো.আওরঙ্গজেব খান সম্রাট এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বারের সভাপতি এড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি।প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের পিস অ্যাম্বেসেডর ও বাংলাদেশের সমন্বয়কারী লায়ন মো.ইলিয়াস সিরাজী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেতা আমির হোসেন খান,এড.আবু বক্কর তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক তাহেরা আক্তার শারমীন,সাংবাদিক ও সদস্য সচিব এস.এম. কামরুল ইসলাম,নবুয়াত আরা ছিদ্দিকা,মো. তৌহিদুল করিম,মো.আব্দুর রহিম,ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৈয়ব,মহানগর সমন্বয়কারী মো.নুরুল আফসার তৌহিদ,ফেনী জেলার সভাপতি মো.নুরুন্নবী মিয়া, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব চৌধুরী,প্রফেসর মোঃ আবু হানিফ,মোঃ নুর নবী, এড.ফরিদুল আলম,মুজিবুর রহমান রাসেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি এড. নাজিম উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকান্ড। তাই অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্য সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, আলিফ হত্যাকা-ের সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিক সমাজ এ হত্যাকা-ের সম্পূর্ণ কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রকাশ করার আহ্বান জানান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে লায়ন মোঃ ইলিয়াস সিরাজী বলেন, বাংলাদেশে পরিপূর্ণ মানবাধিকার সুরক্ষায় আইএইচআরসি জেনেভা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠন সবসময় নজরদারী রাখে মানবাধিকার রক্ষায়। কোন হত্যাকান্ড এ সংগঠন মেনে নেয় না।
মানবাধিকার নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম বলেন, আলিফ হত্যাকা-ের মাধ্যমে যারা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে চাচ্চে তারা জনগণ ও দেশের শত্রু। তাই এদের চিহ্নিত করে মোকাবেলার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার সহ-প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।সভাপতির বক্তব্যে মঈনুদ্দীন আহমেদ বলেন,সবধর্মের মানুষ মিলে মিশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখবে এটাই আমাদের বিশ্বাস।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বাবলু বড়ুয়া,গাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন,মো. কামাল হোসেন,মো.ইমতিয়াজ নঈম আরমান, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের জেলা সভাপতি জসিম উদ্দিন নীরব,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জাহেদ,কফিল উদ্দিন চৌধুরী,মো.আরিফুল ইসলাম,মো.মহিউদ্দিন,রবিউল ইসলাম সম্রাট, মোঃ দিদারুল আলম,চট্টগ্রাম মহানগরের ডা.জামাল উদ্দিন,আবু আহমদ মিয়া,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এড.নাজিম উদ্দিন,জহির উদ্দিন ভূইয়া,ফারজানা আক্তার,এমদাত হোসেন সোহেল,মাহমুদ উল্লাহ, মো.ফারুক,জোহরা খাতুন,মানবাদিকার নেত্রী মুক্তি শেখ,রেশমী আক্তার,মো.খোরশেদুল আলম,এড. নাজমুল কালাম শরীফ,জোবায়ের হোসেন, মানবাধিকার ও নারী নেত্রী শারমীন সরকার, ফারজানা আক্তার,মনি আক্তার,নাজমা বেগম, রোকেয়া বেগম,সানজিদা ইসলাম শান্তা,জুই আক্তার,শেফালী শেফা,মিনারা বেগম,শাহীনুর আক্তার মুন্নি,সুমী আক্তার,সাজু ইসলাম মিলি প্রমুখ।