বার্ষিক কর্মসম্পদান চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২০২৫ এর আওতায় বান্দরবান জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তারুণ্যনির্ভর, উন্নত,সমৃদ্ধ,বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন,১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েও সরকার বা নীতি পরিবর্তনে তরুণেরাই সব সময় প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
বান্দরবান জেলা তথ্য অফিসার জনাব মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় তারুণ্যনির্ভর, উন্নত,সমৃদ্ধ,বৈষম্যহীন বিষয়োর উপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জনাব ওয়াহিদুর রহমান,প্রভাষক,গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ,বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে জাবীবা মীরা,বান্দরবান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মো.ফয়সল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ,শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,অমিত সম্ভাবনার আমাদের এই বাংলাদেশ,তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর মানে হচ্ছে তরুণদের সুন্দর চিন্তাধারার বাস্তবায়ন।যার জন্য তরুণদের স্বপ্ন আর অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণের প্রয়োজন,প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতা।তরুণ বা জেন-জি যা-ই বলি না কেন, তারা যে নতুন ধারার রাজনীতির কথা বলছে, এই ধারায় তারা দেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আনতেও সবাইকে নিয়ে নেতৃত্ব দেবে বলে বক্তারা আশাবাদী।বক্তারা আরও বলেন, তারুণ্যের চিন্তাভাবনাই তৈরি করতে পারে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা।সুশাসন,মানসম্মত শিক্ষা,ন্যায়বিচার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রত্যাশা আছে তাদের মাঝে।রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে তরুণদের চিন্তা চেতনার সমন্বয় সাধন ও তার প্রকাশ ঘটাতে হবে কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে।