পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত ছাত্র জনতার উদ্যোগে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা হত্যা,নির্যাতন ও অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বক্তারা বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে যেসব ঘটনা ঘটছে তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।পাহাড়কে অশান্ত করতে ষড়যন্ত্রকারীরা সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব ছড়াচ্ছে।এসময় পাহাড়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অবিলম্বে সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারির দাবি জানানো হয়।বক্তারা বলেন,পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের এখনই দমন করতে হবে।
তা না হলে আগামীতে সাজেক,রাঙ্গামাটি,বান্দরবান যেতে ভিসা-পাসপোর্টও লাগবে।তাদের যে পরিমাণ অস্ত্র আছে তা পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছেও নেই।তারা পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে তা দখল করতে চায়।চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাহাড়কে তারা জুম্মল্যান্ড বানানোর স্বপ্নে বিভোর হয়েছে।দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীদের মদদে জুম্মল্যান্ড বানানোর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।যেকোনো সঙ্ঘাত হলে সেটাকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরি করছে পার্বত্য অঞ্চলের এসব সন্ত্রাসীরা।তা ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে চাঁদাবাজির কেন্দ্রবিন্দু তে পরিনত করেছে।সন্ত্রাসীরা প্রতি বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা তুলছে।১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলে সেখানকার সাধারণ বাঙালিরা দাস হিসেবে বসবাস করছে।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুন ভূঁইয়া,পার্বত্য চট্রগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো.শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।একইদিন বিকেলে সংগঠনটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং রাতে মশাল মিছিল করে।