স্মার্ট বাংলাদেশ এর মডেল হয়ে উঠুক বান্দরবান সদর উপজেলা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ এ বান্দরবান সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ ৭ কর্মপরিকল্পনা ঘোষনা করেছেন।
শান্তি,সম্প্রীতি,উন্নয়ন,সন্ত্রাস,ঘুষ,দুর্নীতি প্রতিরোধ,মাদক নির্মূলে ক্রীড়ামূখী এবং জবাবদিহিতামূলক একটি কার্যকরী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিতে তিনি এই কর্মপরিকল্পনা ঘোষনা করেন।গেলো ২৭ এপ্রিল শনিবার হিলভিউ রেস্টুরেন্ট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই কর্মপরিকল্পনা ঘোষনা করা হয়।উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ এর পক্ষে লিখিত এই ০৭ কর্মপরিকল্পনা সাংবাদিক পেশাজীবিদের সামনে উপস্থাপন করেন সংবাদকর্মী লুৎফুর রহমান (উজ্জ্বল)।এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা এমন কর্মপরিকল্পনার প্রশংসা করেন এবং সার্বিকভাবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবে রুপ দিতে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।এদিন বান্দরবান প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন,বান্দরবান প্রেস ইউনিটি এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ৫৪জন সাংবাদিক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
যা আছে ০৭ পরিকল্পনায়ঃ
কৃষিঃ আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এদেশের গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষ সর্বোপরি কৃষি ও কৃষক ভাই-বোনেরা।কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।উন্নত প্রযুক্তির কৃষি সরঞ্জাম বিতরন করা হচ্ছে।এই কার্যক্রম কে এগিয়ে নিতে উপজেলা পরিষদ একটি দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করবে।বর্তমান কৃষকদের জন্য যে সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে তা আরও বৃহৎ পরিসরে বিস্তৃত আকারে বাড়ানোর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিশেষ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।নিয়ম মেনে কৃষককে ভোগান্তিহীন সেচ লাইসেন্স পেতে সহায়তা করা হবে।কৃষকদের জন্য একটি হটলাইন নাম্বার চালু করা হবে যাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে একজন কৃষক দ্রুত সময়ে নিজের সমস্যা নিয়ে সরাসরি উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অবহিত করতে পারে।পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয় ওই কৃষকের সমস্যা দুরীকরনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহন করবে।এছাড়াও জেলা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ কে কৃষি ও কৃষকবান্ধব উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শিক্ষাঃ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মেধাবৃত্তি চালু করা।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান করবে পরিষদ (প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে নুন্যতম দুই জন করে এবং তা নির্বাচিত হবার একশো দিনের মধ্যেই দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হবে)।স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্মার্ট শিক্ষার্থী এই স্লোগান কে সামনে রেখে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হবে।উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
সামাজিক নিরাপত্তাঃ মাদক,কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ।বাল্যবিবাহ নির্মূলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা হবে।নারীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্ঠিতে কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।সরকার ঘোষিত গ্রাম হবে শহর কার্যক্রমকে প্রশাসনের সমন্বয়ে এগিয়ে নেয়া হবে।এছাড়াও জেলা লিগ্যাল এইড অফিস এর সহায়তায় বিনামূল্যে আইনি সেবা কার্যক্রমের বিষয়টি জোরালোভাবে প্রচার করা হবে যাতে সাধারন মানুষ বিনামূল্যে আইনি সেবা গ্রহনে লিগ্যাল এইড অফিসমুখী হয়।
ক্রীড়াঃ ছেলে-মেয়েদের ক্রীড়ামুখী রাখতে মাঠ গুলো কে সংস্কার ও খেলা উপযোগী করা।উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রনয়ন করা হবে।উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে গতিশীল করার মাধ্যমে বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে পরিষদ।ক্রীড়া কে এগিয়ে নিতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে গঠিত ক্লাবগুলোকে সচল করে ক্রীড়া সামগ্রীসহ বার্ষিক প্রনোদনার আওতায় আনা।এছাড়াও ফেডারেশন গুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন পূর্বক খেলোয়াড়দের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।এছাড়াও আমাদের তরুন ও যুবসমাজকে নিয়মিত খেলাধুলায় রাখতে পারলে মাদকের আগ্রাসনকেও অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।
স্বাস্থ্যঃ গ্রামীন জনপদে সাধারন জনগনের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অনেকটাই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর উপর নির্ভর করে।এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম কে গতিশীল করতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।এছাড়াও বেসরকারি ও সেচ্ছাসেবি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাগুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনায় উৎসাহিত করা হবে।
নাগরিক সুবিধাঃ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা।এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে রাষ্ট্র।বান্দরবান সদর উপজেলাস্থ সর্বসাধারনের খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা,গ্রামীন সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন,জলবদ্ধতা নিরসন,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করা হবে।সরকারি-বেসরকারি সকল উন্নয়ন সংস্থা এবং প্রশাসনের সমন্বয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে একটি গঠনমূলক এবং শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে সদর উপজেলা পরিষদ।
রুপকথার গল্প নয় সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হয়ে উঠুক বান্দরবান সদর উপজেলা এই স্বপ্নের বাস্তবিক রুপ দিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করেন।
অনুলেখকঃ-সংবাদকর্মী লুৎফুর রহমান (উজ্জ্বল)।প্রতিষ্ঠাতা,অনলাইন দৈনিক সিএইচটি টাইমস ডটকম (www.chttimes.com) এবং ইংরেজি অনলাইন দৈনিক বান্দরবান ট্রিবিউন ডটকম (www.bandarbantribune.com)।