মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, হাল্কা ও ভারি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু,বাইশফারি, ফাত্রাঝিরি,বাজাবুনিয়া,রেজু আমতলি,গর্জবনিয়াসহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম।এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।ফাটল ধরেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের দেয়াল।প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।বিশেষ করে তুমব্রু,কোনার পাড়া,ক্যাম্প পাড়া,তুমব্রু বাজারসহ কয়েকটি পাড়া পরিদর্শন করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
এসময় নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস,উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা,ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান প্রমূখ।বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা ঘুমধুম মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম,তুমব্রু,ভাজাবুনিয়া, বাইশফাঁড়িসহ দীর্ঘ সীমান্ত পরিদর্শন করেন।এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন,সীমান্তের ওপারে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) ১৮টি মর্টার শেলের আওয়াজ শুনেছেন স্থানীয়রা।এ কারণে অনেকে আতংকে থাকলেও ভয়ের কোনকারণ নেই।কেননা সীমান্তে ৩৪ বিজিবির জোয়ানরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।এ ছাড়া পুলিশ,উপজেলা প্রশাসন সার্ক্ষণিক খবরাখবর রাখছেন।
তবে গত সোমবার ১টি মর্টার শেলের আঘাতে মাটি গর্ত হয়ে গেছে বলে জানালেন তুমব্রু পশ্চিম কুলের অধিবাসি আবদুর রহিম প্রকাশ বাহাদুল্লাহ।স্থানীয়রা জানান,মিয়ানমারের ওপার থেকে ছুড়া ২টি মর্টার শেল তুমব্রু কোনার পাড়া এলাকায় পড়ে বিস্ফোরিত হয়।তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।সীমান্ত পরিদর্শন শেষে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বেলা ৩টায় ঘুমধুম ত্যাগ করেন।