চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত এক যাত্রীর উপর হামলার অভিযোগে পূরবী বাসের চালক,হেলপার এবং সুপারভাইজার’কে বরখাস্তের পাশাপাশি বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে আজীবনের জন্য যানবাহন চালানোর কাজে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।তারা হলেন বাসের চালক নুরুল আবছার,সুপার ভাইজার তপন চক্রবর্তী ও হেলপার সাদ্দাম হোসেন।এ বিষয়ে পূরবী পরিবহনের কর্ণধার কাজল কান্তি দাশ বলেন,ঘটনাটি বান্দরবান পর্যটন এলাকার জন্য লজ্জাজনক ছিল।অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে কাজল কান্তি দাশ আরো বলেন,ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে দোষীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান,যাত্রী সেবার পরিধি বাড়ানোর অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (২০ জুন) থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী ৪টি বাসের সিডিউল পরিবর্তন করে বান্দরবান রুটে দেওয়া হয়েছে।সম্পূর্ণ ক্লোজ ডোর হিসেবে গাড়িগুলো চলাচল করবে।৩৬ আসন বিশিষ্ট এসব বাসে বাজালিয়ার জন্য ৪টি সিট সংরক্ষিত থাকবে।কেরানিহাটে কোন কাউন্টার না থাকায় পূরবী বাস এখন থেকে কেরানিহাটে দাঁড়াবে না।পূরবী বাস এখন থেকে দিনের বেলায় চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এবং রাতের বেলায় ২ নম্বর গেট পর্যন্ত যাত্রীদের পৌঁছে দেবে।
জানা গেছে,গত ১৬ জুন বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া থেকে পূরবী বাসে ওঠার পর এক মহিলাসহ দুই যাত্রীকে সীটে বসার সুযোগ না দিয়ে কেরানিহাট পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে নেওয়া হয়।তারা টিকেট অনুযায়ী সীট দাবি করলে বাসের তিনজন স্টাফ গাড়ির ভেতর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অনার্স কোর্সে অধ্যয়নরত সাকিব হোসেনকে মারধর করে।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে দ্রুত পূরবী পরিবহণের কর্নধার কাজল কান্তি দাশ এর নজরে আসে।এদিকে,বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-কক্সবাজার সড়কে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী পরিবহনে সেবা দিয়ে আসা পূরবী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং বাস মালিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।