বান্দরবান রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন পাইক্ষ্যংপাড়ার অসহায় পিথর বম কারবারির ১৮ দিনের শিশু সন্তান খ্রিস্টিয়াং বমের সার্বিক চিকিৎসা ব্যায়ের দায়িত্ব নিয়েছে বান্দরবান সেনা জোন।২৯শে মার্চ দুর্গম পাইক্ষ্যং পাড়া হতে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু ও তার পরিবারটিকে উদ্ধার করে শিশুটির চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে সেনাবাহিনী।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১ টায় বান্দরবান সেনা জোনের আরএমও ক্যাপ্টেন মো.আসাদুল ইসলাম বান্দরবান সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে শিশুটির বর্তমান শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন বিগত কিছুদিন আগে দুর্গম পাইক্ষ্যংপাড়ায় আমরা মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করতে গিয়েছিলাম,আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো দুর্গম এলাকায় অসহায় চিকিৎসা বঞ্চিত জনসাধারণের মাঝে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা,কিন্তু সে সময় ঐ গ্রামে কাউকেই পাওয়া যায় নি।তিনি বলেন যখন আমরা জানতে পারলাম ঐ গ্রামে মুমূর্ষু অবস্থায় অল্প কিছুদিনের ভূমিষ্ঠ হওয়া একটি শিশু দুরারোগ্য চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত তখন আমাদের উদ্যোগেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আশার ব্যাবস্থা গ্রহণ করি।
বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন এবং আমরাও তার খোঁজ খবর রাখছি।এদিকে সেনা জোনের পক্ষ হতে শিশুটির পরিবার কে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল ব্যায়ভার সেনা জোন বহন করবে বলে জানান জোন আরএমও ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এদিকে শিশুটির মা মাঙ্গাই পাংখুয়া জানান বেশ কিছু দিন দুর্গম পাইক্ষ্যং পাড়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারনে তার পরিবার সহ আরো অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন এসময় তিনি নিরাপত্তার ভয়ে কোন অভিযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য,পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর ভয়ে ইতি মধ্যে রোয়াংছড়ি সহ আরো কয়েকটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের স্থানীয় বসবাসকারী জনসাধারণ এখন ঘর ছেড়ে আরো গহীন বনে দূর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন,যার কারনে সে সকল পরিবার এখন নিরাপদ পানি,খাবার ও চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে জানানো হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী কোন মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।