পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন,বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।জাতির এই শ্রেষ্ট সন্তানদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন।শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান আর আত্মমর্যাদা দিয়েছে,তা অন্য কোনো সরকার কখনো দিতে পারেনি।রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২৩ উপলক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদানের দুটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর।
এ সময় তিনি আরও বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবেন আর তাদের জন্য বিভিন্ন ভাতার পাশাপাশি বীর নিবাস করা হচ্ছে।এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন,স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন,তাই আমাদের সবাইকে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কেননা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শত্রুরা এখনো দেশে নানা ধরনের অরাজকতা করছে।আর এতে দেশের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।এ সময় পার্বত্যমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যেসব শহিদ তাদের প্রাণ দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম,পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।শেষে বান্দরবান জেলার ৫৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানী ও শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয়।
অন্য দিকে জেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার হোসেন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ বি এম আবুল কাশেম চৌধুরী (বীর প্রতীক),প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।