ধান,চাল,গম,ভুট্টা,সার,চিনিসহ উনিশটি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত এর লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে প্রশাসন।সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌর শহরের বিভিন্ন চালের আঁড়তে জেলা প্রশাসন এই অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস।
এসময় তিনটি চাল আঁড়তদার প্রতিষ্ঠানকে পণ্যে পাটজাত মোড়ক এর বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ এর ১৪ ধারায় নয় হাজার টাকা জরিমানা অথবা বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করে মোবাইল কোর্ট এর বিচারিক আদালত।পরে তিনটি প্রতিষ্ঠানই আইন অমান্য করার বিষয়টি স্বীকার করে এবং জরিমানা পরিশোধ করেন।
একই দিন মোবাইল কোর্ট ধুমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫ এর ০৫ ধারায় আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড অথবা বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।এছাড়াও বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল বলেন, সরকার পাট পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের লক্ষ্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় পাট অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাবুল চন্দ্র দাস,বেঞ্চ সহকারী মো.খোরশেদ আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে চাল আঁড়ত ব্যবসায়ীরা বলছেন,পাটের বস্তার সরবরাহ কম থাকায় তাঁরা প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করছেন।পাটের বস্তার পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে তারা নিজেরাই এর সঠিক ব্যাবহার নিশ্চিত করবেন।এবিষয়ে স্থানীয় এসব দোকানিরা প্রশাসনের সহযোগিতাও কামনা করেন।
প্রসঙ্গত,পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ আইনের আওতায় ধান,চাল,গম,ভুট্টা,সার, চিনি,মরিচ,হলুদ,পেঁয়াজ,আদা,রসুন,ডাল,ধনিয়া,আলু,আটা, ময়দা ও তুষ-খুদ-কুড়া,পোল্ট্রি ও ফিস-ফিডসহ মোট ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এর ছাপানো গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,১৯টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।