পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন,কৃষকরাই জাতির মেরুদণ্ড।দেশের ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানদাতা আমাদের কৃষকরা।সরকার কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।আমাদের খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।স্বাধীনতার পর জাতির পিতা কৃষকদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কৃষক সমবায় সমিতির মাঝে কৃষি সরঞ্জাম প্রদান,প্রণোদনা,সার ও বীজ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা কর্মসূচির আওতায় নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম,পিপিএম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.লুৎফুর রহমান,পৌর মেয়র মো.ইসলাম বেবী,মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন।বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,ক্য সা প্রু,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন,সব ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।এক সরকার এতিমদের টাকা লুটপাট করে খায়।আরেক সরকার প্রধান দেশ কীভাবে ডিজিটাল হবে,দেশ কীভাবে সমৃদ্ধিশালী হবে সেই চিন্তা করে।
মন্ত্রী আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শান্তি আছে বিধায় আমরা এক সাথে এক জায়গায় এখন জড়ো হতে পারি।শান্তি চুক্তির আগে এ পরিবেশ ছিল না।প্রধানমন্ত্রীর কারণেই শান্তি চুক্তির পরেই পাহাড়ে এত উন্নয়ন।
এ সময় মন্ত্রী পার্বত্য জেলার মাতামুহুরি এবং সাঙ্গু নদীর দুই তীরকে আবাদে আনার জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন।আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে শেষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জিআর খাত থেকে ৩১ জনকে মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ৩০ জনকে মোট ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।এছাড়াও ২৯টি পাওয়ার টিলার,১৩টি সেচ পাম্প,৫৩টি ফুট পাম্প এবং ৩৪ টি স্প্রে মেশিন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরন করা হয়।