মাটি-খাদ্যের সূচনা যেখানে,এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে পালিত হয়েছে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি বের হয়।র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।পরে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর,প্রধান তুলা উন্নয়ন কমর্কতা মো.আলমগীর হোসেন মৃধা,প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বান্দরবান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.মাহবুবুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি বলেন,আমাদের ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করছে পাহাড়ি জুম চাষ পদ্ধতি এবং প্রান্তিক জমিতে খাদ্য উৎপাদন ক্ষমতার ওপর।এজন্য ফসল নির্বাচন,চাষ পদ্ধতি,সামাজিক কার্যক্রম এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমান সরকার টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা,জলবায়ু,পরিবেশ এবং ভূমি ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন,পাহাড়ি মাটির ক্ষয় রোধে উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উদ্ভাবিত টেকসই প্রযুক্তির প্রচার করতে হবে।আমাদের কৃষি এবং পরিবেশের মাটির ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ কিভাবে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখা যায় তা নির্ধারণ করতে মাটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।