বান্দরবানে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জালিয়াতির দায়ে ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে জেলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানানো হয়।
এই ৯ জন জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।তবে এদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে এখনো কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেননি।
জানা যায়,সম্প্রতি পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৭৬ জন চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়।এদের মধ্যে নয় জনের বিষয়ে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আসায় তাদের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়।এদের বিরুদ্ধে বোমাং রাজার (সার্কেল চিফ) সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থায়ী বাসিন্দার বিশেষ করে বোমাং রাজার সনদ প্রদান বাধ্যতামূল।পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগ কমিটি অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.এটিএম কাউছার হোসেন জানান, অভিযুক্তরা বোমাং রাজার সনদ জালিয়াতি করেছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর এদের প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য নিয়োগ কমিটির সুপারিশের পর তাদের প্রার্থীরা বাতিল করা হয়।
তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,বিষয়টি নিয়ে কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে সুপারিশ করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান,অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।সেই সাথে কোন কর্তৃপক্ষ যদি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এ বিষয়ে প্রমাণপত্র চায় তবে তা দেয়া হবে।
যাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে-
স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জালিয়াতির দায়ে বান্দরবান জেলা শহরের আর্মি পাড়ার আইরিন আক্তার মিতু, সুয়ালক বাজারের তারিখুজ জামান,সরই ইউনিয়নের নাহিদ সুলতানা,লামার হেডম্যান পাড়ার মো.সাইফুল ইসলাম,লামার বরইতলী এলাকার মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন,ঘুনধুমের রহিমা বেগম,নাইক্ষ্যংছড়ির ধুংরী হেডম্যান পাড়ার হ্নায়ামং মারমা,নাইক্ষ্যংছড়ির মসজিদ গোনার অত্রী দাশ ও রুমার নঈম মাহমুদ শাওনের বাতিল করা হয়েছে।
এর আগেও জালিয়াতির কারণে বান্দরবান জেলা পরিষদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেশ কয়েকজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়।