জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড রুম তথা মহাফেজখানার মাধ্যমে জমাবন্দি নকল প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ ও সরবরাহ,কেস নথি ও মিস কেইস ইত্যাদির নকল প্রদান, মাঠ খসড়া সরবরাহ ও ভূমি রেকর্ড সংশোধনের কাজ করা হয়ে থাক।যেকারনে এই রেকর্ড রুমের আশেপাশে সর্বক্ষণই মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’র মানদণ্ড কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এর রেকর্ড রুম এর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ রেকর্ড রুমকে শৃঙ্খলায় রাখতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।দালালের দৌরাত্ম্য এবং অনিয়ম দুর করতে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় নজরদারি তে রাখা হয়েছে।টোকেন নাম্বারের বিপরীতে নিয়মিত জমাবন্দি ও মামলার নকল প্রস্তুত হবার পর যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে জেলা প্রশাসন এর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে যেখানে জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে টোকেন নাম্বার সহ বলা হচ্ছে আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে জমাবন্দি বা মামলার নকল প্রস্তুত।
সরকারের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতায় আসতে আমূল পরিবর্তন নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ এর পরপরই তিনি জনসাধারণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই রেকর্ড রুম এর যাবতীয় কার্যক্রম গুলো তে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।তিনি যে সকল কর্মকর্তা রেকর্ড রুম সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সকলকে নিয়মিত নানা পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।এমনকি কোনও অভিযোগও যদি পাওয়া যায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।দাপ্তরিক জটিলতা নিরসনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে জনসাধারণের কাঙ্ক্ষিত সেবাটি দ্রুততর সময়ে গ্রহণ করতে পারেন।যেকারনে সাম্প্রতিককালে খতিয়ান ও দলিলের নকল সাধারন মানুষ খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে মানুষ যাতে দুরদুরান্ত থেকে কষ্ট করে বান্দরবান জেলা শহরে এসে আবেদিত কাগজপত্র তুলতে না পেরে খালি হাতে ফিরে যেতে না হয় সে বিষয়টি কে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখে রেকর্ড রুম এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে রেকর্ড রুম এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,রেকর্ড রুম এর দাপ্তরিক কার্যক্রম গুলো অত্যন্ত দ্রুততর সময়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে।একসময় দালালদের দৌরাত্ম্যসহ বেশকিছু অভিযোগ ছিল।দালালেরা সেবাপ্রার্থীদের নানান ভুল তথ্য দিয়ে সরাসরি সেবা গ্রহণে নিরুৎসাহিত করতো।এসবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় রেকর্ড রুম এখন অনেকাংশেই হয়রানি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করেছে। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যারের প্রত্যক্ষ ত্তত্বাবধানে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে চলেছি।
তিনি আরো জানান অসুস্থ,বয়স্ক ও নারী সেবাপ্রার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হয়।দালালদের খপ্পরে না পড়ে নির্ধারিত ২২ টাকা ফি এর মাধ্যমে সরাসরি সেবা গ্রহণ করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিদিন গড়ে শতাধিক খতিয়ান এবং মামলার নকল দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ করে সেবা প্রার্থীর হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।জেলা প্রশাসন এর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা আরও বলেন দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার সাহায্যে দপ্তরের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়।এরপরও সেবা পেতে কোনওরকম হয়রানির শিকার হলে রেকর্ডরুমে সরাসরি অবহিত করার জন্য একটি হটলাইন নাম্বার (০১৩২২৪৬৫৬৭৬) চালু করা হয়েছে।