ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ যে পানি পায়, সেটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য একটি সমীক্ষা করার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপিতে বলা হয়, ১২ বছর পর এ দিন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের ৩৮তম জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং ভারতের পক্ষে জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সেখাওয়াত। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক, সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রনালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার।
বৈঠকে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গুমতি, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়— আরও কয়েকটি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির জন্য নদীর তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা পানি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। এর জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা থাকবে আশ্বস্ত করা হয়।
কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়— এটি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে।