এক সপ্তাহ আগেও ১২ কিলোমিটার সড়কপথে যেতে সময় লাগতো প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। কখনো কখনো তারও বেশি। এ পথে যানজটে আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাজেহাল হতে হয়নি, এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এখন ১২ কিলোমিটার সড়কপথ যেতে সময় লাগছে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। হঠাৎ করেই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে যানবাহন টঙ্গী, আবদুল্লাহপুর, ঢাকায় প্রবেশ করে থাকে। রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরবঙ্গের ৩০ জেলার মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গীর ১২ কিলোমিটার সড়কের গুরুত্ব অনেক। এ সড়ক দিয়ে দেশের অর্ধশত রুটে যানবাহন চলাচল করে। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন আগে গাজীপুরের শিববাড়ী থেকে ঢাকার এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। শুরুতে কাজের ধীরগতি থাকলেও এখন কাজের গতি অনেকটাই বেগবান।
সড়কের এ অংশে চলমান নির্মাণকাজ, অবৈধ অটোরিকশার অবাধ চলাচল এবং অননুমোদিত যানবাহনের কারণে যানজট ছিল নিত্যসঙ্গী। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে তিন চাকার এসব যান চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে ছিলেন নগরবাসী। সম্প্রতি গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে ও মহাসড়কে রুট পারমিটবিহীন যানবাহন চলাচল ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ও যানজট বাড়ছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যানজট নিরসন এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মহাসড়ক অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ১৪ জুলাই থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ১ হাজার ১১৮টি অবৈধ অটোরিকশা জব্দ করা হয়। সড়ক পরিবহন আইন অমান্য করায় ২২৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাকসহ ৩২টি পরিবহন ডাম্পিং করা হয়েছে।
গাজীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবু নাঈম বলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথভাবে মহানগরীর শিববাড়ী-রাজবাড়ী-আমতলী সড়কে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।