বিদ্যুৎ সরবরাহ খাতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৯০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
বুধবার (২৯ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মাধ্যমে দেওয়া হবে ৩০ বছর মেয়াদি এ ঋণ। এর মধ্যে থাকবে পাঁচ বছরের রেয়াতকাল। ঋণের আওতায় বিশ্বব্যাংককে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং কমিটমেন্ট চার্জ হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
ইআরডি’র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোট অর্থের মধ্যে ১৫ লাখ ডলার ক্লিন টেকনোলজি ফান্ডের (সিটিএফ) আওতায় অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কর্মসূচির আওতায় ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের চার কোটি মানুষের কাছে উন্নত বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছানো হবে। এর মাধ্যমে ৩১ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ১৫৭ উপকেন্দ্রের আপগ্রেড করা হবে। একই সঙ্গে ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য জলবায়ু সহায়ক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উল্লেখিত কর্মসূচিসহ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশ্বব্যাংকের ১০৮ কোটি ডলারের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন বলেন, গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চারগুণ বেশি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রায় ৯৯ ভাগের বেশি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেনি।