‘রাজউক পূর্বাচল নতুন শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিক আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকার দেশের বিভিন্ন শহরকে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় আনতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সিলেট শহরের বিদ্যুতের ঝুলন্ত তার মুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা এ ব্যবস্থায় আনতে কাজ চলছে। ‘ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ (ডিপিডিসি) এবং ‘ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি’ (ডেসকো) তাদের নিজেদের বিদ্যুৎ বিতরণ এলাকা আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎব্যবস্থায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৪ মে একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকা শহরে ইউটিলিটি সার্ভিসগুলোকে সমন্বিত আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। দেরিতে হলেও সে কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল ‘প্রিলিমারি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল’ বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পিপিপি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। পরে ২০২১ সালের ২৪ মে পিপিপি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্প প্রস্তাবটি স্ক্রিনিং কমিটিতে পর্যালোচনা হয়েছে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন উপযোগী হওয়ায় তা অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, “ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট, ফুটপাথ, গ্রিনফিল্ডের প্রয়োজনীয় ‘রাইট অব ওয়ে’ নিশ্চিতকরণের জন্য রাজউক ও ডেসকোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এ প্রকল্পের সমীক্ষা করতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘এনার্জি টর্ন পিটি লিমিটেড অস্ট্রোলিয়ার’ সঙ্গে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চুক্তি করেছে ডেসকো। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।