বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর উপজেলাস্থ ভরাখালী ৪ নং ওয়ার্ডের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নাজিমউদ্দীন ইমনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইাছমিন পারভীন তিবরীজি।
ডিসি বান্দরবান এর একটি ফেসবুক বার্তা থেকে বিষয়টি জানা যায়।জনস্বার্থে সিএইচটি টাইমস ডটকম বিষয়টি প্রকাশ করছে।জানা যায় মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী ইমন।পরে মাইগ্রেশনে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় ইমন।রবিবার (১২ জুন) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিক্ষার্থী ইমন উপস্থিত হলে তাকে ভর্তি সহায়তা হিসেবে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা তুলে দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।ডিসি বান্দরবান ফেসবুক আইডি সুত্রে আরও জানা যায়,ইমনের বাবা কৃষিকাজ করেন এবং মা গৃহিণী।বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সাতকানিয়ায়।সেই বোনের বাসায় থেকে স্কুল ও কলেজ জীবনের পড়াশুনা শেষ করে ইমন মেডিকেলে কলেজে ভর্তির চান্স পায়।
সম্প্রতি সে মাইগ্রেশানে মাগুরা মেডিকেল কলেজ থেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।মাগুরা থেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারলে যোগাযোগসহ আরো অনেক দিক থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমনের জন্য সুবিধা হয়।প্রথমবার ধারদেনা করে মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা যোগাড় করতে পারলেও মাইগ্রেশনে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা যোগাড় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক এর দৃষ্টিগোচরে আসে এবং মেধাবী এই শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের অগ্রযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ইমনকে ভর্তির খরচসহ বইপত্র কেনার জন্য নগদ পঁচিশ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,বান্দরবানের পাহাড়ী জনপদ মেধার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠুক।অদম্য মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী নাজিমউদ্দীন ইমনের মেডিকেল শিক্ষা জীবনের পথচলা নির্বিঘ্ন হোক এমন প্রত্যাশাই ব্যাক্ত করছি।
উল্লেখ্য,জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাম্প্রতিককালে আরও বেশ কয়েকজন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক দরিদ্র কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থী এই পরিচয় কে গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।ইতিপুর্বে জেলা প্রশাসক এর এমন মানবিক বিষয়গুলো স্থানীয় ফেসবুক ব্যবহারকারী সর্বোপরি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছে।জেলা প্রশাসক এর তড়িৎ সিদ্ধান্তে অনেকে উপকৃত হচ্ছে।
গণশুনানি আয়োজন করায় অনেক মানুষ সরাসরি জেলা প্রশাসক এর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে।এতে উপকৃত হচ্ছে জনসাধারণ।এই ধরনের জনবান্ধব জেলা প্রশাসক বাংলাদেশের আর কোনও জেলায় দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়েও উৎসুক কৌতূহলী মানুষের আলোচনার শেষ নাই।বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গুলোকে এযাবৎকালের সবচেয়ে দূরদর্শী একজন মানবিক জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত হিসেবে সর্বমহলে বারবার প্রশংসিত হয়েছে।