নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি ওই নারীকে আদালতের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।পরে চিকিৎসা শেষে গত ২৫ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক।শুক্রবার (২৭ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট বাচিং থুয়াই মার্মা ভুক্তভোগী নারীর করা মামলার বিষয়টি কে নিশ্চিত করেছেন।আইনজীবী ও মামলা সুত্রে জানা যায়,বাদিনীর নিজ জায়গায় গাছের চারা লাগাতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজন বাঁধা দেয় এবং ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।গত ১৪ মে শনিবার সকালে অপরিচিত লোক এসে খবর দেয় নালিশকারীনির ভাই ও ছেলেকে অপহরণ করে দোছড়ি খইয়াতলি পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।এই খবর পেয়ে নালিশকারীনির তিন বোনসহ উক্ত স্থানে গেলে চেয়ারম্যান সদলবলে ঘেরাও করে শ্লীলতাহানী করে ও মাথা থেঁতলে ও পা ভেঙ্গে দেয়।মামলার আসামী হাবীব উল্লাহ বলেন,মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা পরস্পর যোগসাজসে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান আছে।ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার ব্যাপারে শুনেছেন কিন্তু এখনো আদালতের নির্দেশ বা মামলার নথি পাননি। পেলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবেন বলে জানান তিনি।