বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য চিনি আমদানিতে শুল্ক কমালো সরকার। পণ্যটির আমদানি পর্যায়ে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল। সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তা কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এবং আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এই সুবিধায় চিনি আমদানি করতে পারবেন।
২ মার্চ এনবিআরের কাস্টমস উইং এক প্রজ্ঞাপনে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে থাকা এই নিয়ন্ত্রণমূলক কর কমায়। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক সভায় বলেছেন, চিনি আমদানিতে কর কমানো হচ্ছে। ফলে আসন্ন রমজানে পণ্যটির দাম বাড়ার যুক্তি নেই। যদিও ব্যবসায়ীরা তা মনে করছেন না। তারা বলছেন, শুল্ক কমানোয় খরচ কমবে এটা সত্য, কিন্তু দাম ও পরিবহন খরচ বেড়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্যটির দাম কমানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চিনি পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীদের সুপারিশে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিনি আমদানিতে প্রতি টনে তিন হাজার টাকা স্পেসিফিক ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ৫ শতাংশ আগাম আয়কর ছিল। অন্যান্য কর অপরিবর্তিত রেখে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে যা ছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা।