সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদ্য ঘোষিত বিএনপির আংশিক কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও বিএনপি চেয়ারপারসন এর কাছে লিখিত অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন আলীকদম উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দরা।লিখিত অভিযোগ পত্রটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ-আলীকদম উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানান গত ৩ মার্চ পত্রিকা মারফত বান্দরবান জেলা বিএনপির নতুন আংশিক কমিটি গঠনের সংবাদ জানতে পেরে সারা জেলার নেতাকর্মীদের ন্যায় আলীকদম উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতবাক হয়েছেন।সারা জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মতো আলীকদম উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরাও অপেক্ষায় ছিলেন কেন্দ্র কতৃক অনুমোদিত ৯৮৩ জন কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে গনতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচনের।গত ১৭ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন কতৃক প্রেরিত প্রতিনিধি দলের কাছে আলীকদম উপজেলা বিএনপি সহ জেলার ৭ উপজেলা ও ২ পৌরসভা ইউনিটের নেতৃবৃন্দ একযোগে কাউন্সিল এর দাবি জানায়।প্রতিনিধি দল জেলার সকল প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছিলেন সভার সকলের বক্তব্য নেত্রীর কাছে পৌছানো হবে।কিন্তু সকলের আশা প্রত্যাশার কাউন্সিল কে পাশ কাটিয়ে কোনও আলাপ আলোচনা ছাড়াই জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত দশবছরে একদিনের জন্যও যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন,সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে চলতেন তেমন দুজন ব্যাক্তি কে সভাপতি/সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।ঘোষিত কমিটির সভাপতি মিসেস মে মা চিং ১/১১ সময়কালের সংস্কারপন্থী।কথিত আছে তিনি সেসময় প্রয়াত মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়াকে দলের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন।তাঁর সহযোগী জাবেদ রেজা কে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক।তিনি মেয়র থাকাকালে ৭বার সরকারি সফরে বিদেশ গেছেন।অবরোধ হরতালে সরকারি দলের এমপি মন্ত্রীদের সাথে প্রকাশ্যে গাড়ীবহরে থাকতেন।তৃণমূল এর মতামত উপেক্ষা করা,আন্দোলন সংগ্রামে একদিনের জন্যও না থাকা,সংস্কারপন্থী ব্যাক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটি স্থগিত করা হউক এবং কেন্দ্র অনুমোদিত ৯৮৩ জন কাউন্সিলর দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশনার আবেদন জানাচ্ছি।আমরা আলীকদম উপজেলা বিএনপি সদ্য ঘোষিত বিএনপির আংশিক জেলা কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।পরিশেষে সম্পুর্ন একপেশে,তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে গঠিত আংশিক কমিটি স্থগিত করার আবেদন করছি।