পর্যটন নগরী বান্দরবানে সমাগম ঘটেছে প্রয়োজনাতিরিক্ত পর্যটক।সবগুলো হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট গুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ।এই বিশেষ দিনে পর্যটকদের সৌজন্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও বর্ষ বরণ উৎসবে মুখরিত হয়েছে হোটেল হিলভিউ প্রাঙ্গণ।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডারের থার্টি ফার্স্ট নাইটের উপহার স্বরূপ পাঠানো কেকটি হোটেলে কর্মরত সদস্যদের নিয়ে কাটেন হোটেলের সত্বাধিকারী ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ।
সন্ধ্যা ৭ টা থেকে হিলভিউ কনভেনশন হলে আগত পর্যটকদের বিনোদনের স্বার্থে হোটেল হিলভিউর নিয়মিত আয়োজন স্থানীয় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।অনুষ্ঠানে আনন্দে মুখরিত হয় উপস্থিত দর্শক ও আগত পর্যটকরা।আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষন ছিল কাজল কান্তি দাশের বেশ কয়েকটি মনমুগ্ধোকর সংগীত পরিবেশনা।এতে ঢাকা হতে আগত ও উপস্থিত দর্শকরাও বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন।এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলছে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন বর্ষবরণ।
হোটেল হিলভিউতে রাজশাহী থেকে ভ্রমণে আসা প্রফেসর ডা.জমসেদ মজুমদার বলেন,পরিবার নিয়ে এসেছি,খুব ভালো লাগছে।এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসব মুখর পরিবেশে উপভোগ করছি।
উল্লেখ্য,খ্রিস্টপূর্ব ’৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করেন।খ্রিস্টিয় বছর তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসেবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ দিবাগত রাত- থার্টি ফাস্ট নাইট।এ রাতের ১২টা ১ মিনিটকে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করা হয়। বছরের শেষ রাতের এ মুহূর্তটি উদযাপন একটি সংস্কৃতি।যাহা বর্তমান বিশ্বের সব দেশেই প্রচলন রয়েছে।