শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। এই বিষয়ে তিনি বাংলাভিশন ডিজিটাল-এর সংগে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর হাত ধরে বিএনপিতে এসেছি। বেগম খালেদা জিয়া’র সংগে থেকে রাজনীতি করেছি। দলের দুবৃত্তায়ন ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি। বিএনপি আজ ৪৪ বছরের রাজনীতির ‘পুরস্কার’ আমাকে দিয়েছে।
মঞ্জু বলেন, কারও সংগে আলাপ না করে হঠাৎ করে খুলনায় দু’টি কমিটি দেওয়া হয়েছে। মহানগর ও জেলায় যাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে খুলনায় তাঁদের অবদান কী? তাঁরা কি আমাদের থেকে অনেক বেশি যোগ্য? এই কথাগুলোই আমি বলেছিলাম। তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২৯ পৃষ্ঠার দরখাস্ত দিয়েছি। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। উল্টো অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিএনপি’র ত্যাগী এই নেতা বলেন, খুলনায় বিএনপিকে ধ্বংশের দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্ত আমার প্রতি আবিচার। বিএনপি’র রাজনীতি করেই আমি তৈরি হয়েছি। বিএনপি’র কারণেই আজ আমি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপি করে যাবো।
জানা গেছে, ১৯৯২ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ সাল থেকে গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় নগরীর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাই নজরুল ইসলাম মঞ্জু’র অনুসারী। রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাঁকে দেখা যায়। অন্য রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনে তাঁর আলাদা অবস্থান রয়েছে। এসব কারণে ৯ ডিসেম্বর দেওয়া কমিটি থেকে মঞ্জু’র বাদ পড়ায় অবাক হয়েছেন খুলনার সব শ্রেণির মানুষ।
বিএনপি নেতারা জানান, ২০১৭ সালে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে খুলনা বিএনপি’র রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। ছাত্রদলের ওই কমিটিতে বাদ যায় মঞ্জু’র অনুসারীরা। নেতাদের অভিযোগ, কমিটি গঠনের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিলেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ রকিবুল ইসলাম বকুলকে দিয়ে ওই কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি গঠনের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আলোচনায় আসেন বকুল। কমিটি গঠনে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন মঞ্জু। কিন্তু তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সভায় হেলাল এবং বকুল-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এতে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।