বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কলা গাছের প্রাচুর্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধান ও সমন্বয়ে কলা গাছ থেকে সুতা তৈরির একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের আমতলী পাড়াতে এই সুতা তৈরির উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসুচী এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন,মুজিববর্ষ উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের ক্রাউ আমতলীপাড়া এবং রাজবিলা ইউনিয়নের খামাদংপাড়ার ৫ টি পরিবারের ১০ জন সহ দুইপাড়ার ২০জন পুরুষ নারীকে কলাগাছ থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হলো।উদ্ভাবনী এই প্রকল্প ফলপ্রসু হলে এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন করা গেলে বান্দরবানের অন্যান্য পাড়াগুলোতেও ক্রমান্বয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।এতে পাহাড়ের জনসাধারণ উপকৃত হবে পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পাবে।এসময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান,চেমী মৌজার হেডম্যান পুলু প্রু,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,লার্ক গ্লোবাল লি এর চেয়ারম্যান সায়েদ মুস্তফা জাবেদসহ ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও গ্রাউস এর কর্মকর্তা এবং পাড়াবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়,প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং গ্রাউসের যৌথ সমীক্ষায় ৬৩ টি গ্রামের উপর সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়।সমীক্ষা প্রতিবেদন এর ভিত্তিতে এ প্রকল্পের জন্য ৯ টি পাড়া ও গ্রামকে নির্বাচন করা হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে।উল্লেখ্য,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সার্বিক অর্থায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা উদ্দিপন।এছাড়া সুতা তৈরির পর বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে সিএইচপি ও লার্ক গ্লোবাল লিমিটেড।