স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আমরা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে সাজাবো। এ জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এবং এখানে ৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হবে।’ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিসিন সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেকের আশ্বাস, ‘পুরো স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘দেশ স্বাধীনের সময় আটটি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। স্বাধীনতার পর দেশে এখন ১০০টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কাজ করছে। এটাই স্বাধীনতার ফল। এখন একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং আরও চারটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলোর কাজ শুরু হবে। ঢামেককে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে তৈরির অনুমোদন হয়ে গেছে। করোনার কারণে আমরা অতটা এগোতে পারিনি। অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নকশা নিয়ে আলোচনার পর কাজ শুরু করবো।’
জাহিদ মালেকের মন্তব্য, ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা একটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিনই আমাদের নতুন নতুন শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। আমরা এখন স্বাস্থ্যসেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চেষ্টা চালাচ্ছি, যাতে ঢাকার ওপর চাপ না পড়ে। দেশের দরিদ্র মানুষেরা ঢাকায় সেবা নিতে আসে, কিন্তু এখানে তারা তেমন জায়গা পায় না। মাসের পর মাস, দিনের পর দিন ঘুরতে হয় তাদের। সেজন্য আমরা বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে সমৃদ্ধ করছি।’
করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পাঁচ মিনিটে ১২ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি দিয়েছেন। তার চাওয়া, মানুষের জন্য যেন ভ্যাকসিনের অভাব না হয়। আমরা ২২ কোটি ভ্যাকসিন কিনেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা দিয়েছে তা মিলিয়ে আমাদের ৩০ কোটি ভ্যাকসিন আছে। যদিও আমাদের এত চাহিদা নেই। ১২-১৩ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলেই হয়ে যাবে। আমরা স্কুল শিক্ষার্থী ও ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন দিয়েছি। এবার প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বুস্টার ডোজ দেবো।’
ঢামেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. আর্ল আর মিলার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হাসানসহ অন্য চিকিৎসকরা।