বেসামরিক বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষের (বেবিচক) নেওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি থার্ড টার্মিনালসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে এসব দিকনির্দেশনা দেন বলে একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে স্ক্যানার অচল হওয়ায় রপ্তানি কাজে ধীরগতি নিরসনে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তাকে অবহিত করা হয় রবিবার দুপুরেই কার্গো ভিলেজের একটি ইডিএস সচল করে সেবা চালু করা হয়েছে।
দীর্ঘ তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে বিমানবন্দরের কার্গো হাউসের ইডিএস জটিলতায় পণ্য রপ্তানিতে শ্লথগতি, থার্ড টার্মিনালের ২৪ শতাংশ কাজের অগ্রগতি, পিসিআর ল্যাব, চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও সিলেট এয়ারপোর্টের প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতি, নিউইয়র্ক, টরন্টো ও জাপানের ফ্লাইট চালু ও বিমানের নিজস্ব কার্গো শাখা চালুর জন্য নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি ও অগ্রগতির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
জানা যায়, দুপুরে পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে করোনা তাণ্ডবের মাঝে বেবিচকের সব প্রকল্পের কাজই যথারীতি এগিয়ে চলছে বলে জানানো হয়। করোনা না থাকলে এতদিনে এসব প্রকল্পের আরও অগ্রগতি হতো। বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। বিশেষ করে সবচেয়ে আলোচিত থার্ড টার্মিনালের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দিনরাত শত শত কর্মী সক্রিয় থাকার বিষয়ে অবহিত করা হয়। করোনার মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ভয়কে জয় করার মানসিকতায় দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক প্রকল্পে নিয়োজিত রয়েছেন সেটা অবহিত হয়ে বেশ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী এক এক করে থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজার, সিলেটসহ অন্য এয়ারপোর্টের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো হাউসে দুটি ইডিএস মেশিন অচল হয়ে যাওয়ার বিষয়েও তারা আলোচনা করেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয় করোনাকালে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শন সময়মতো করা যায়নি। যে কারণে দুটি মেশিন চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে রপ্তানি কার্যক্রমে কিছুটা শ্লথগতি দেখা দেয়।
কার্গো সম্পর্কে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, ১৪ অক্টোবর ভেলিডেটর এসে কার্গো পরিদর্শনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর চলতি মাসেই ইডিএসগুলো সচল করা হবে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে কার্গোর মালামাল মজুদ করার জন্য বিজেএমইএ নেতৃবৃন্দকে দেওয়া প্রস্তাবও বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি ঢাকার চাপ কমানোর জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকেও কার্গো রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়।