মেট্রোরেলে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ রোববার থেকে। তবে এই চলাচল হবে যাত্রীবিহীন। রাজধানীর উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনের এই চলাচলকে বলা হচ্ছে ‘পারফরম্যান্স টেস্ট’। উত্তরায় মেট্রোরেলের জন্য নির্মিত ডিপোতে আজ সকাল ১০টায় ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গত শুক্রবার দিয়াবাড়ীর ডিপো থেকে পল্লবী পর্যন্ত ভায়াডাক্টের (উড়াল রেলপথ) ওপর চালানো হয় মেট্রোরেলের ট্রেন। মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম, এ, এন, ছিদ্দিক সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, রোববার (আজ) সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্মিত ভায়াডাক্টে ট্রেন চালানো হবে। এটি হবে যাত্রীবিহীন পরীক্ষামূলক চলাচল। এ ছাড়া ভায়াডাক্টের কোথাও কোনো অসুবিধা আছে কিনা, এতে স্থাপন করা রেললাইনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তুর বাধা রয়েছে কিনা- তা যাচাই করে দেখতে শুক্রবার সকালে ট্রেন চালানো হয়েছে। তবে সেটি পরীক্ষামূলক ছিল না। মেট্রোরেল ও ঠিকাদারের কর্মীরা ট্রেনের সঙ্গে আধা কিলোমিটার হেঁটে গেছেন। এরপর আবার আট-দশজন করে আধা কিলোমিটার ট্রেনে চড়েছেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল, এতদিন ধরে যে ভায়াডাক্ট তৈরি করা হয়েছে, তা ঠিকঠাক কাজ করে কিনা তা দেখা।
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) নির্মাণকাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লাইনটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এক দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হবে। এমআরটি-১, এমআরটি-২, এমআরটি-৪ এবং এমআরটি-৫ (উত্তর ও দক্ষিণ লাইন) নামে আরও চারটি মেট্রোরেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে।