প্রাথমিকপর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৮৪ শতাংশই করোনার টিকা নিয়েছেন। আর এটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনার টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা কার্যক্রমে জোর দেয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রাথমিকের তিন লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৩১৯ জন, যা শতকরা ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ডিপিইর তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) তথ্য অনুযায়ী, এখনও টিকার বাইরে আছেন ৬২ হাজার ৫৬৪ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই নারী শিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা বা বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন বা জটিল রোগে আক্রান্ত কিংবা নিবন্ধন করেও টিকা নেয়ার তারিখ পাননি। তবে যারা এখনও বাকি রয়েছেন, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিইর মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সব শিক্ষকের টিকা নিশ্চিত করা হবে। এ কারণে সবাইকে বাধ্যতামূলক টিকা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকের প্রায় সবারই টিকা নেয়া শেষ। যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের নানা সমস্যা রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ১১ আগস্টের মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বিভাগীয় উপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার, সব পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট, উপজেলা ও থানা রিসোর্স সেন্টারকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (আইএমডি) শিক্ষা অফিসার শরীফ উল ইসলাম বলেন, আমাদের জানা মতে, বেশির ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন। যারা এখনও নেননি তারা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত, আবার অনেকেই অন্তঃসত্ত্বা। তবে যারা এখনও টিকা পাননি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবেন।