কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৩০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও দেশপ্রেমিক জননেতাকে হারালাম। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তার একমাত্র পুত্র মুনতাকিম আশরাফ টিটু ইনকিলাবকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিত্তথলিতে পাথর সংক্রান্ত সমস্যায় গত ২ জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। সাথে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে ৯ জুলাই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ জুলাই বিকাল ৩টায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপির মৃত্যুতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা চান্দিনাসহ কুমিল্লাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
কুমিল্লার চান্দিনার গল্লাই মুন্সি বাড়ির মরহুম মো. ইসমাইল হোসেন মুন্সির ছেলে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি ১৯৬২সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে এ অঙ্গণে পা রাখেন।
১৯৭৩ সালের প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ম বারের মত জয়লাভ করেন। ২০০০ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।