দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী বলেন, অসহায় মানুষের জন্য প্রক্রিয়াটি চলমান। বুধবার ৩০টি জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুরক্ষাসামগ্রী ও খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। আরও যেখানে প্রয়োজন হবে, দলের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার পুরো প্রস্তুতি রয়েছে। অসহায় মানুষকে চিহ্নিত করে তাদের সহায়তা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের কাছে একটি তালিকা আছে, আওয়ামী লীগের কাছেও আছে। সেই তালিকা অনুযায়ীই সহায়তা করা হবে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, একটি মানুষও যাতে অনাহারে না থাকে, সে জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। তাই থানা, ওয়ার্ড বা এলাকার জনপ্রতিনিধি বা নেতৃবৃন্দের কাছে শরণাপন্ন হলে তারা যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেবেন।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই করোনা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ শুরু থেকে মানুষকে সচেতন ও সহায়তা করার কাজটি অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছে। ‘জীবনের চেয়ে জীবিকা মূল্যবান নয়’ এটি যেমন আমাদের মাথায় আছে, তেমনি মানুষের অসহায়ত্বের কথাও মনে আছে। দলগতভাবে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়াবে। যেখানেই প্রয়োজন হবে, সেখানেই খাদ্য বা সুরক্ষাসামগ্রী পৌঁছে যাবে।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের লকডাউনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
স্বেচ্ছাসেবক লীগও মানুষের সংকটে পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। তিনি বলেন, আমাদের কাজই হচ্ছে সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকা। লকডাউনে মানুষের সহায়তার প্রয়োজন হলে তাদের পাশে থাকার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কেন্দ্রের নির্দেশনা সারাদেশের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটি টেলিমেডিসিন সেবা অব্যাহত রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি জয় বাংলা অ্যাপসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।