মিঠাপুকুরের চেংমারী ইউনিয়নের একটি গ্রাম হাড়ড়পাড়া।গ্রামটিতে গেলেই চোখে পড়বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমদেল হোসেন সড়কের নামফলক। খানিক দূর এগুলোই দেখা যাবে কমডোর গুলজার হোসেন চৌধুরি সড়কের নামফলক। শুধু এ দুটি সড়ক নয়, চেংমারী ইউনিয়নের ২৩টি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে ২৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে। ম
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণের এই উদ্যোগ নিয়েছে চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদ। মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং মোসলেম বাজার-দর্শনা বাইপাস সড়ক থেকে এসব নামকরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আইয়ুব আলী শেখ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকে বেঁচে নেই। কেউ বেঁচে থাকবেনা। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন, আমরা সাধুবাদ জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে সড়কগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এর মধ্যে অনেক সড়ক এখনও পাকাকরণ হয়নি। সেগুলো পাকাকরণের দাবি জানান তিনি।
তিলকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশে শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের নামে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো নামকরণ করার ফলে, আগামী প্রজন্ম তাদের সর্ম্পকে জানতে পারবে। চিরদিন স্মৃতিতে অম্লান থাকবেন মুক্তিযোদ্ধারা।’
চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল কবির টুটুল সমকালকে বলেন, ‘এই ইউনিয়নের ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রয়েছে। তাদের নামে প্রধান সড়কগুলোর নামকরণ করার জন্য আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। ইতোমধ্যে সড়কগুলো উদ্বোধন করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরা যে সব সড়ক কাঁচা রয়েছে, সেগুলো পাকাকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ একটি মহৎ উদ্যোগ। যে রাস্তাগুলোর এখনও পাকা করণ হয়নি, সেগুলো পাকাকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’