বান্দরবানের ৯নং ওয়ার্ডের মেঘলা পর্যটন এলাকার ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে স্বয়ং দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ভিকটিমের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বান্দরবানের ৯নং ওয়ার্ডের মেঘলা পর্যটন এলাকার ৮ম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্রীকে বেশ কয়েকমাস ধরে জোর করে ঘর থেকে ডেকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবে বলে কয়েকবার ধর্ষণ করে আব্দুল মতিন বাবু নামে এক বখাটে যুবক। ওই যুবক ভিকটিমের পারিবারিক সুত্রে দুলাভাই এবং পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মাইক্রো চালক। দুলাভাই হওয়ার সুবাধে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাকে বেশ কয়েকবার বাড়ি বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে গেল ৩০ মে মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তার মা প্রথমে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করে সুস্থ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রাতে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তির পর মেয়েটির অবস্থা সংকাটাপন্ন হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীরে রক্ত দিতে শুরু করে, বর্তমানে তাকে হাসপাতালে শুইয়ে রক্ত দিচ্ছে ডাক্তাররা।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা জানান,‘ আমি দিনমজুরের কাজ করি,প্রতিদিনই ঘরের বাইরে থাকি এই সুযোগে তার দুলাভাই আব্দুল মতিন বাবু আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং তাকে এই কথা কাউকে না বলতে নিষেধ করে। তিনি আরো জানান, আব্দুল মতিন বাবু আমার মেয়েকে ভয় দেখায় যদি কাউকে ধর্ষণের কথা বলে তবে সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে ’।
এদিকে এই সংবাদ শুনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেল পারুল এবং কয়েকজন সমাজকর্মী মিলে মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে দেখতে যায় এবং পুলিশের কাছে ফোন করে ঘটনার বিবরণ দিলে পুলিশ বান্দরবান মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল মতিন বাবুকে আটক করে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.সোহাগ রানা জানান,পুলিশকে জানানোর পরপরই পুলিশ আব্দুল মতিন বাবুকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে এসেছে এবং এই বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।