করোনা মহামারিতে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বান্দরবানে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। প্রার্থনা আর ধর্মীয় মঙ্গল কর্ম সম্পাদন করছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমী, ত্রিপুরা, লুসাই, বম, খিয়াং, চাকমা, চাক সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়ের বিহারগুলো। ধর্মীয় প্রার্থনা, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের (ভান্তে) খাবার, ছোয়াইং, চিবরদান, নগদ টাকা, গুরু ভক্তি, প্রদীপ প্রজ্বলনসহ বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী দান করছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ নারী-পুরুষরা ইহকাল ও পরকালের শান্তির জন্য বিভিন্ন উপসনালয়ে উপস্থিত থেকে প্রার্থনায় অংশ নেন। এসময় নারী-পুরুষ ভক্তরা বাতি প্রজ্জ্বলন, ধর্মীয় প্রার্থনা, ভান্তেদের খাবার প্রদানসহ নানা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন।
বান্দরবানের রাজবিহার, কালাঘাটা গৌতম বৌদ্ধ বিহার, বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহার, উজানীপাড়া বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বিহারে চলছে প্রার্থনা, গুরু ভক্তি, ছোওয়াইং প্রদান (ভান্তেদের খাবার দান), প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বোধিবৃক্ষমূলে চন্দন জল প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চপ্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্ল, পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, রাজপুত্র মংওয়ে প্রু, রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরীসহ বিহারের দায়িক দায়িকাবৃন্দরা।
প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে এ দিনটি উদযাপন করে থাকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। বান্দরবানের বৌদ্ধ বিহারগুলো সাজানো হয় বর্ণিল সাজে, শত শত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয় দিনটি।বুদ্ধ ধর্মমতে, আড়াই হাজার বছর আগে এদিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও প্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে একে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বলা হয়।