চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেটা খেলাপি করা যাবে না।
করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব উদ্যোক্তা সমস্যায় পড়েছেন তারা ঋণ শোধ করতে বাড়তি তিন মাস সময় পাবেন।
ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে খেলাপি হবেন না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেটা খেলাপি করা যাবে না।
এ সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা কমিশন বা চার্জ আরোপ করা যাবে না।
ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের উপর সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে।
এ নির্দেশনা অনতিবিলম্বে কার্যকর বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এ কারণে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চালু নেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
ব্যবসা বাণিজ্যের স্লথ গতির কারণে কিস্তি পরিশোধ নিয়ে বিপাকে আছেন ঋণগৃহীতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের শ্রেণিকরণে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। করোনার কারণে কোনো গ্রাহক সাময়িকভাবে ঋণের কিস্তি শোধে সমস্যার সম্মুখীন হলে তাদের হিসাবের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হলো।
২০২০ সালে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও এই ধরনের সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পরিশোধ না হলেও খেলাপি ঘোষিত না হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণও করতে হয়নি। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফাও বেড়ে গেছে। আর করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।