চতুর্থ দফার ২য় ধাপে আজ ভাসানচরে যাচ্ছেন আরো প্রায় ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদেরকে নেয়া হচ্ছে ভাসানচরে।
এরআগে সোমবার তাদের উখিয়া আশ্রয় শিবির থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। রাতে রাখা হয় বি/এ/এফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে। এর আগে সোমবার সকালে দুহাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়া হয়।
৪র্থ দফায় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় দফার (প্রথম অংশে) ১ হাজার ৭৭৮ জন, ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার (দ্বিতীয় অংশে) ১ হাজার ৪৬৪ জনসহ এ পর্যন্ত ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে ৭ হাজার রোহিঙ্গা।
এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে উদ্ধার করার পর ভাসানচর নিয়ে যায় সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। শিবিরগুলোয় চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।