করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ২৭০০ কোটি টাকার আরো দুই প্রণোদনা প্যাকেজ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৩:৫২ : অপরাহ্ণ 219 Views

করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় আরো দু’টি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে। এই দুই প্যাকেজে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন দুইটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে। কর্মসূচি দুইটির বাস্তবায়ন অবিলম্বে শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন অনুমোদিত এই দু’টিসহ প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা বর্তমানে হলো ২৩টি। যার আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ)।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার ১,৫০০ কোটি টাকা, যার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত এবং নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে। এই প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় ১,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় সব বয়স্ক দরিদ্র এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থ বিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভাগুলোতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থনীতি বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরো পদক্ষেপ নেয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!