জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডেটা কার্ড উদ্বোধন করেন।
পাকিস্তানের মিলানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন।

স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং ডাটা কার্ড শুক্রবার থেকে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক বু্যরো থেকে এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলো থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতি দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তির বিভিন্ন ঐতিহাসিক
প্রেক্ষাপট উলেস্নখ করে বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের বন্দিশিবির থেকে টানা ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন। এরপর থেকেই দিনটি ‘বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চলাকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তাকে পাকিস্তানের মিলানওয়ালি কারাগারে নির্জন কক্ষে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়।
ডাকমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও তখনো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া স্বাধীনতার আনন্দের পূর্ণতা ছিল না। পরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাপক কূটনৈতিক চাপ এবং বিশ্ব শীর্ষ নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।