‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশের পৌছানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সেই লক্ষে পৌছানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উচ্চ মধ্যম ও সমৃদ্ধশালী দেশের লক্ষ্যে পৌছাতে হলে নারীদের সাথে নিয়েই কাজ করতে হবে। আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী, নারীদের বাদ দিয়ে আমাদের সরকারের লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হবো।’
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরীর হোটেল গ্রান্ড পার্কে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভাগীয় সংলাপ ও তৃণমূল পর্যায়ে অপরাজিতাদের সাথে সংসদ সদস্যবৃন্দদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (বরিশাল-৫) কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা তাকিয়ে যদি দেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী, আমাদের স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী নারী। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, ৫০ জন সংরক্ষিতসহ ৭২ সংসদ সদস্য রয়েছেন নারী। তবে কোন কিছু রাতারাতি হবে না, সময় সাপেক্ষে সবকিছুই হবে। ‘
নারীদের অগ্রগতির তুলনা করে জাহিদ ফারুক আরও বলেন, ‘দশ বছর আগেও নারীরা পিছিয়ে ছিলেন, কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে নারীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছেন, যাতে করে ৩৩% এর নির্ধারিত কোটাগুলো পূরণ সম্ভব হয়। আজ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, এয়ারফোর্স, পুলিশে নারীরা রয়েছেন। একটি জেলায় উপজেলা পর্যায়ে আজ নারীরা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন। টাঙ্গাইলে গিয়ে দেখি ৫ উপজেলায় ৫ জনেই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব জায়গাতেই নারী শিক্ষক। অনেক বিদ্যালয়ে তো পুরুষ শিক্ষকতো পাওয়াই যায় না।’
তিনি বলেন, ‘সার্বিক উন্নয়নে ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। বড় চিন্তা করতে হবে। পুরুষদের সাথে নারীদেরও একইতালে কাজ করে যেতে হবে। আজকাল বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা রাতারাতি রাজনৈতিক নেতা বনে যায়। এজন্য নারী-পুরুষ সবাই মিলে যদি ওই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারি, তাহলে নারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। কারণ সন্ত্রাস থাকলে নারীরা সামনে এগুতে পারবে না। আমরা যদি দেশের উন্নয়ন চাই ভালো মানুষ নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের ধর্ষণ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে, জোড়ালো বক্তব্য রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ শেষ হওয়ার পরে দেখি, নারী সাংসদরা যেভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে দাড়িয়ে যায়। তা কিন্তু আমরা পুরুষ সদস্যরা পারি না। এতে নারী সাংসদরা আরো উৎসাহিত হন এবং তারাও সাধারণদের উৎসাহিত করতে পারেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের থেকে আমরা বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দক্ষিন এশিয়ায় আমরা প্রথম আছি এবং পৃথিবীর বুকে পঞ্চম স্থানে আছি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ে। তাই এটা বলা যাবে না পিছিয়ে আছেন। আপনারা নারীরা ভালোভাবেই অগ্রসর হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে পৌছাতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম, অধ্যাপিকা শাহ্ শাজেদা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বরিশালের সভাপতি রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।