করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা তিন কোটি মাস্ক বিতরণ করবে সরকার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৩৮ : পূর্বাহ্ণ 263 Views

আসন্ন শীতে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্যোগের অংশ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, নয়তো সেবা মিলবে না। খোদ মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামই এমনটি জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে যাদের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘আসুন, সবাই মাস্ক পরি, করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’—এই স্লোগান সামনে নিয়ে সারা দেশে ৫০৪টি স্পটে দরিদ্র মানুষের মাঝে তিন কোটি গুণগত মানসম্পন্ন মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে যাঁরা মাস্ক চাইবেন তাঁরাই পাবেন। বাংলাদেশ স্কাউট এই মাস্ক বিতরণের কাজটি করবে। তিন কোটি মাস্ক কেনাসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা খরচে। প্রকল্পে পুরো টাকাই অনুদান হিসেবে দেবে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নের প্রকল্প হওয়ায় এটি এখন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কাছ থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

বাংলাদেশ স্কাউটসের নির্বাহী পরিচালক আরশাদুল মোকাদ্দিস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমরা স্কাউটসের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মাঠে আছি। সামনে যেহেতু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাই দরিদ্র মানুষের জন্য আমরা মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জনসমাগমে আমরা এসব মাস্ক বিতরণ করব। ইআরডি থেকে প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে আমরা আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যেই কাজটি শুরু করা সম্ভব হবে।’ আরশাদুল মোকাদ্দিস আরো বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের যে নীতিমালা রয়েছে, আমরা পুরোপুরি সেই নীতিমালা অনুসরণ করেই মাস্ক বিতরণ করব। মাস্ক হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও গুণগত মানের। একজন দরিদ্র মানুষ একটি মাস্ক যাতে অনেকবার ব্যবহার করতে পারেন, সে ব্যবস্থাই থাকবে।’
পরিকল্পনা কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সারা দেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের আওতায় গরিব, বস্তিবাসীকে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই মাস্ক বিতরণ করা হবে। বন্যা আক্রান্ত এলাকা, ঝড়ে আক্রান্ত হয়ে যারা বাড়িঘর হারিয়ে ভাসমান, জনবহুল বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ এবং রেলস্টেশনে মাস্ক বিতরণ করা হবে। একই সঙ্গে তাদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে। আর এই তিন কোটি মাস্কই আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে বানানো হবে

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!