ব্যাস্ততা বেড়েছে শাহজালালে, বেড়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৩:৫০ : অপরাহ্ণ 390 Views

সড়ক, রেল ও নৌপথের মতোই ব্যস্ত হয়ে উঠছে দেশের আকাশপথ। অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও এরই মধ্যে ১৮টি কোম্পানি ২০টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। যাত্রী ব্যস্ততায় আবারও সচল হয়ে উঠছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ মাসেই ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলের সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘১৮টি এয়ারলাইনস কোম্পানি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল, তাদের সবাইকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আমাদের গন্তব্য মোট ২৩টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দুবাই, আবুধাবি, লন্ডন, কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। এ মাসের শুরুতে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে গালফ এয়ার, ওমান এয়ার ও সালাম এয়ারকে। ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হয়নি এখনো। ভারতের কোম্পানি ‘এয়ার বাবল’ দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। ওই কোম্পানি আরও আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
আমাদের সঙ্গেও চুক্তি করতে চাইছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তি হলে আমাদের দেশের কোম্পানির উড়োজাহাজ ওদের দেশে যাবে, ওদের উড়োজাহাজ আমাদের দেশে আসবে। আমাদের এয়ারলাইনসের তালিকা ওদের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা কয়েকটি গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। এর মধ্যে আছে দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিল্লি যেতে চায়, ইউএস বাংলা চেন্নাই এবং নভোএয়ার কলকাতা যেতে চায়। তাদের গন্তব্য জানতে চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ মাসের শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে
’ করোনা দুর্যোগের বাস্তবতা মেনেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে স্বাভাবিক হচ্ছে দৈনন্দিন কর্মকা-। ক্রমান্বয়ে আগের ব্যস্ততায় ফিরছে দেশের বিমানবন্দরগুলো। গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ছিল যাত্রী ব্যস্ততার চিত্র। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকেই দেশের অভ্যন্তরের রুটগুলোতে শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। এরপর বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। গতকাল দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, লাইন দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা। গেটে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস সরবরাহ করছেন বিভিন্ন কোম্পানির কর্মীরা। দুবাইগামী যাত্রী গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ব্যবসার কাজে যেতে পারছিলাম না। এরপর ফ্লাইট চালু হলেও নানারকম ভোগান্তি ছিল। এতে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করলে যাত্রী এবং প্রতিষ্ঠান উভয়েই উপকৃত হবে। ’ সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা যায়, ১৮টি কোম্পানিকে ২০টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ বিমানই সপ্তাহে অন্তত ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ার, এয়ার এরাবিয়া, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস, ফ্লাই দুবাই, মালিন্দো, এয়ার এশিয়া, গালফ এয়ার, ওমান এয়ার ও সালাম এয়ারসহ আরও ছয়টি কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। গন্তব্যভেদে কোম্পানিগুলো সপ্তাহে ২-৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি ও কোয়ারেন্টাইন সক্ষমতা বিবেচনা করে ক্রমান্বয়ে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ফ্লাইটের চাহিদা রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!