মো. আলী আশরাফ মোল্লা।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রামিতের সংখ্যা নিশ্চিত ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আমরা অনেকেই মনে করছি যে, দেশে করোনা ভাইরাস নাই! আগের মতো আক্রান্ত হচ্ছে না! আসলে আমাদের ধারণা টি নিশ্চিত ভুল। দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও মৃত্যু কিন্তু কমছে না। বরং বেশ কিছু দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা কিন্ত বাড়তির দিকেই। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। এর আগের দিন ও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আজকে পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১২৭ জনের।
দেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানা যায়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তারপর ৫ মাস ধরে প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যুর খবর থাকছেই। করোনায় আক্রান্তের খবর প্রথম চীনে গত বছরের শেষের দিকে পাওয়া যায়। ক্রমে সেটা মহামারি আকারে সারা বিশ্বজুড়ে খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। তার দু মাস পরেই চীন এই সংক্রমণ কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও সংক্রমণের তিন চার মাসের মাথায় নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু দেশে সংক্রমণের পাচঁ ছয় মাসেও পপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত তথ্য প্রদানকারী সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮৮ টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ তম। আর আক্রান্তের দিক থেকে অনেক আগেই এর উৎপত্তি স্থল চীন কে টপকে গেছে বাংলাদেশ। তবে আশার কথা হলো, চীনের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যু হার কম। অবশ্য এখন মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। তাছাড়া ও দেশে অন্যন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেও শনাক্তের হার বেশি বলেই বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন গড়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। এর মধ্যে যদি শনাক্ত এর হার টানা তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নীচে থাকে তাহলেই কেবল মাত্র বুঝা যাবে যে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
কলামিস্ট ও সাংস্কৃতিক কর্মী।