নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। শেখ হাসিনার বিচরণ এখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রংপুর জেলা স্কুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্ট ও রংপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে রংপুর বিভাগের সাংবাদিকদের সরকারি আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোন দিকে তাকাচ্ছে, আমেরিকা-রাশিয়া, ভারত-পাকিস্তানসহ চীন ও অন্যান্য দেশ সেটা লক্ষ্য করছে। সব পরাশক্তি শেখ হাসিনার দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে, শেখ হাসিনা কোন দিকে তাকায়। এরকম একজন নেতৃত্ব আমরা পেয়েছি, সেটা বাংলাদেশের জনগণের সত্যিই সৌভাগ্য।
জেলা প্রশাসক আসিফ আহসানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, রংপুর মেট্টো পলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বিএফইউজে’র নির্বাচন কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান শাফি, সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল প্রমূখ।
এসময় রংপুর বিভাগের ৬ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুসারে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন, করোনাকালে চাকুরি হারানো ও বেতন না পাওয়া সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে রংপুরের ৪৮, দিনাজপুরের ৫৪, পঞ্চগড়ের ৩০, কুড়িগ্রামের ৩২, লালমনিরহাটের ১৮ এবং ঠাকুরগাঁও জেলার ২৯ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক দেয়া হয়।করোনার সময় শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। করোনার সময় যখন গোটা বিশ্ব অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন শেখ হাসিনা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছেন। জাস্টিন ট্রুডোর (কানাডার প্রধানমন্ত্রী) চোখের পানি আমরা দেখেছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যারা গর্ব করে সেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী আকাশের দিকে তাকিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা একদিনের জন্য, এক মুহূর্তের জন্যও সাহস হারাননি। তিনি লড়ে যাচ্ছেন সীমিত সম্পদ নিয়ে। বাংলাদেশের জনগণকে তিনি লড়াই করতে শিখিয়েছেন। যদি এমন নেতৃত্ব না পেতাম, তাহলে কী হত। ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড় দুই লাখ মানুষ মারা গেছে। পশু-প্রাণী এবং মানুষকে একসঙ্গে দাফন করতে হয়েছে। এরকম অবস্থা বাংলাদেশে হয়েছিল। তখন কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল আপনারা জানেন।
সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবন তৈরি করে যারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে; কই হাওয়া ভবন তো পাঁচ বছরে বন্ধ করতে পারেননি। এ মিঠু (ঠিকাদার) একদিনে তৈরি হয়নি। হাওয়া ভবনের পথ পরিক্রমায় মিঠু তৈরি হয়েছে।
রিজেন্টের শাহেদ প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, কোনো অপরাধীকে আমরা কিন্তু ক্ষমা করছি না। রাষ্ট্রের মন্ত্রী, গণমাধ্যমের বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলে শাহেদ নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেছেন; কিন্তু রাষ্ট্রের আইনের কাছে তিনি গুরুত্বহীন হয়ে গেছেন। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার শাসন।