বান্দরবানের বাগমারায় জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের ৬ সদস্যের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্তু লারমা গ্রুপের ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সংস্কারপন্থী গ্রুপের বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।মামলায় আরো ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে পুলিশ তাৎক্ষণিক নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও একটি সূত্র জানায়, জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বান্দরবান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের নাম রয়েছে। ইতিমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের বান্দরবান শাখার নেতাকর্মীরা মামলার আতঙ্কে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় নিহত ৬ জনের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্য ও সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে জেলা কমিটির সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার লাশ পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করে সৎকারের জন্য বাঘমারায় নিয়ে গেছে। অপর পাঁচ সদস্যের লাশ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করে খাগড়াছড়িতে নিয়ে গেছে।
এদিকে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের ৬ সদস্য নিহত হওয়ার পর ওই এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুনরায় হামলার আশঙ্কায় ওই এলাকা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক এখন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে আশেপাশের পাঁচটি পাড়ার বাসিন্দারা। সন্ত্রাসীদের ধরতে ইতিমধ্যে ওই এলাকায় পুলিশ সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জন মোট ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকাল ৭টার সময় গুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সংস্কারপন্থী এমএন লারমা গ্রুপের জেলা সভাপতিসহ ৬ জন নিহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরও ৩ জন।