শ্রমিক ছাঁটাই গ্রহণযোগ্য নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ জুন, ২০২০ ৭:৪৪ : অপরাহ্ণ 579 Views

৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারি শুরুর প্রথম থেকেই বলে আসছেন, কোনো শ্রমিক যাতে কষ্ট না পায়। তাই কোনোভাবেই শ্রমিক ছাঁটাই আমরা এক্সেপ্ট করিনা।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে করোনা সংকট নিয়ে বিশেষ অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর ষষ্ঠ পর্বে এ কথা বলেন তিনি।

বরাবরের মতোই এই পর্বটিও সরাসরি প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ www.facebook.com/awamileague.1949 এবং অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে https://www.youtube.com/user/myalbd।

আয়োজকদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের পর্বের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাজেট ২০২০-২০২১: জীবন ও জীবিকার বাজেট’। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় বাজেট এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন- পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এফবিসিসিআই এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সরকার প্রধানের প্রথম চিন্তা ছিলো করোনা ভাইরাস ঠেকানো। তাই প্রথমেই তিনি স্বাস্থ্যখাতে নজর দিলেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ, পিপিই, মাস্ক আমদানিসহ স্বাস্থ্যখাতে যারা জড়িত যেমন চিকিৎসক, নার্সদের কল্যাণে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন তিনি।

‘পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেন। সর্বোপরি দেশের ব্যবসা বাণিজ্য স্থিতিশীল রাখতে ১ লাখ ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা শুরুর প্রথম থেকেই বলে আসছেন, কোনো শ্রমিক যাতে কষ্ট না পায়। সে জন্যেই তিনি করোনা শুরুর একেবারে প্রথম থেকেই শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। আগস্টের মাঝামাঝিতেই এই খাত ঘুরে দাঁড়াবে। তাই কোনোভাবেই শ্রমিক ছাঁটাই আমরা এক্সেপ্ট করিনা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের টার্গেট হচ্ছে স্বল্পমূল্যে সবার কাছে জ্বালানি বিতরণের পাশাপাশি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা। এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা এবারের বাজেটের বেশিরভাগ টাকাই ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশনে ব্যয় করছি। এই সিচুয়েশনেকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আশাকরি আমরা ভালো করতে পারবো।

বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার আছে দুর্নীতিমুক্ত রাখা এবং কোনোভাবেই যেন সম্পদের অপচয় না হয়। স্বাস্থ্যখাতের বাজেটের বিষয়ে দুইটি জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে কোনোভাবেই অপচয় যাতে না হয় এবং এফিসিয়েন্টলি এইটা ব্যবহার করা।

‘করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে সেটা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড-১৯ কিন্তু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যখাতে কোন জায়গাগুলোতে আসলে বরাদ্দ প্রয়োজন। সেই জায়গাগুলোতে যাতে বরাদ্দটা ব্যবহার হয়।’

ফেসবুক কমেন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রশ্নগুলো আলোচকদের কাছে তুলে ধরা হয়।

এর আগে, বিয়ন্ড দ্যা প্যান্ডেমিকের পাঁচটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ পর্বটি প্রচারিত হয়েছে গত ৬ জুন। এই পর্বে বক্তারা কোভিডের সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা, করোনা চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!